ই-পাসপোর্টের আবেদন করবেন যেভাবে

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) পেতে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) মতো নিয়ম মেনে আবেদন করতে হবে। যদিও এ প্রক্রিয়ায় কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।

ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে অথবা পিডিএফ ফরমেটে ডাউনলোড করে তা পূরণ করতে হবে। এতে কোনো ছবি এবং কোনো ধরনের কাগজপত্র সত্যায়নের প্রয়োজন নেই। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদসহ বাবা-মায়ের এনআইডির কপি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আবেদনপত্র গ্রহণের সময় হাতের ১০ আঙুলের ছাপ, ছবি ও চোখের আইরিশ ফিচার নেয়া হবে।

আবেদন করার বিস্তারিত নিয়ম অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রেও পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রয়োজন হবে। তবে অতি জরুরি ক্ষেত্রে ই-পাসপোর্ট করার জন্য প্রি-পুলিশ ভেরিফিকেশন নিজ উদ্যোগে করে নিয়ে যেতে হবে।

৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য সাধারণ (১৫ দিন) ফি সাড়ে ৩ হাজার টাকা, জরুরি (৭ দিন) সাড়ে ৫ হাজার টাকা এবং অতি জরুরি (২ দিন) সাড়ে ৭ হাজার টাকা। ১০ বছরের জন্য সাধারণ (১৫ দিন) ফি ৫ হাজার টাকা, জরুরি (৭ দিন) ৭ হাজার টাকা এবং অতি জরুরি (২ দিন) ৯ হাজার টাকা।

পাঁচ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের সাধারণ (১৫ দিন) ফি সাড়ে ৫ হাজার টাকা, জরুরি (৭ দিন) সাড়ে ৭ হাজার টাকা এবং অতি জরুরি (২ দিন) সাড়ে ১০ হাজার টাকা। ১০ বছরের জন্য সাধারণ ফি (১৫ দিন) ৭ হাজার টাকা, জরুরি (৭ দিন) ৯ হাজার টাকা এবং অতি জরুরি (২ দিন) ১২ হাজার টাকা। সব ফি’র সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ হবে।

ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। যেসব অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তাদের পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি এমআরপিও চালু থাকবে। তবে নতুন করে কাউকে এমআরপি দেয়া হবে না। পর্যায়ক্রমে সব এমআরপি তুলে নেয়া হবে।

Print Friendly

Related Posts