শাহ্ আহ্সানুল্লাহ র. ছিলেন যুগের শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ফেনী নিজপানুয়া দরবার শরীফ মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির ব্যবস্থাপনায় ‘যুগশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ (সংস্কারক) হযরত কেবলা শাহ আহসানুল্লাহ (র.) এর জীবনাদর্শ আমাদের অনুপ্রেরণা ও পথ নির্দেশিকা’ শীর্ষক সেমিনার ১১ জানুয়ারি শনিবার কুমিল্লা টাউন হলে নিজপানুয়া দরবার শরীফের পীর সাহেব মুহতারাম সৈয়দ গোলাম জিলানী (মাঃজিঃআ)এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা গদ্দীনিশিন পীর সাহেব কেবলা হযরত মাওলানা শাহ মুহাম্মাদ আহছানুজ্জামান (মাঃজিঃআঃ)। নিজপানুয়া দরবার শরীফের শাহজাদা মাওলানা সৈয়দ বদরুদ্দোজা জুনায়েদ’র উপস্থাপনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দরবারের বিশিষ্ট মুরিদ অধ্যাপক মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক।

আলোচক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন  ঢাকা দারুল উলূম আহসানিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি কাজী আবু জাফর মোহাম্মাদ হেলাল উদ্দীন, উপাধ্যক্ষ আল্লামা এম এ কুদ্দুছ, কুমিল্লা ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মতিন, চট্টগ্রাম বেতাগী আস্তানা শরীফের সাজ্জাদানশীন মাওলানা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ , কুমিল্লা হাসানিয়া দরবার শরীফের পীর সাহেব মাওলানা মুফতি সৈয়দ আবু বকর নোমানী আল হাসানী, কুমিল্লা ফকির বাজার মাদরাসার সুপার মাওলানা হাসানাতুল্লাহ ফারুকী, কুমিল্লা প্রাক্তন পিপি এডভোকেট মজিবুর রহমান , কুমিল্লা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উপদেষ্ঠা আলহাজ্ব শাহ মুহাম্মাদ আলমগীর খাঁন ।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. সৈয়দ শাহ এমরান।

এ ছাড়া  উপস্থিত ছিলেন নিজপানুয়া দরবার শরীফের সাজ্জাদানেশীন সৈয়দ বদরুল কামাল, মশুরীখোলা দরবার শরীফের শাহজাদা শাহ মুহাম্মদ মোহসেনুজ্জামান ও শাহ মুহাম্মদ সাইফুজ্জামান, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সৈয়দ মুতাসিম বিল্লাহ, সৈয়দ জামিউল্লাইন, সৈয়দ আহমাদ মাদানী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মশুরীখোলা দরবার শরীফের পীর সাহেব কেবলা বলেন, এদেশে তাসাউফের সঠিক শিক্ষা প্রচার ও প্রসারে হযরত কেবলা শাহ আহসানুল্লাহ (র.) ছিলেন যুগের শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ।  তিনি এমন এক সময় এদেশে শুভ জন্মগ্রহন করেন যখন এদেশের মুসলমানগন চতুর্দিক থেকে আক্রমন ও নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছিল। এক দিকে যেমন ইংরেজ বেনিয়া দ্বারা মুসলমানদের কৃষ্টি কালচার হুমকির মূখে পড়ছিল অন্যদিকে মুসলিম নামধারি কিছু সার্থন্বেষি মহল এদেশকে দারুল হরব ঘোষনা করে জুমআর নামাজকে নাজায়েয ফতোয়া ঘোষনা করে। হযরত কেবলা (র.) উভয়ের মোকাবেলায় মুজাহিদের ভূমিকা পালন করেন এবং ইসলামে তাসাউফের সঠিক  মর্মার্থ ও শিক্ষাকে জাতির সামনে উপস্থাপন করে একজন মুজাদ্দিদ হিসেবে আবির্ভুত হন।

পরিশেষে সভাপতি সৈয়দ গোলাম জিলানী (মাঃজিঃআঃ) সভাপতির বক্তব্যে আগামি ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ অনুষ্ঠিতব্য হযরত কেবলা (র.) এর ১৫০তম উরস মাহফিল সফল করার আহব্বান জানান।

মিলাদ ও দোয়ার মাধ্যমে সেমিনারের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। এত বহু সংখ্যক ভক্ত মুরিদান ও সাধারন ধর্মপ্রান মুসলমান অংশ নেন।

Print Friendly

Related Posts