আমতলীর কলেজছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যায় প্রেমিকের ফাঁসি ও আইনজীবীর যাবজ্জীবন

ইফতেখার শাহীন ও সাগর আকন: বরগুনার আমতলীতে ফারিয়া ইসলাম মালা নামের এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে জবাই করে হত্যার পর সাত টুকরা করার দায়ে প্রেমিক আলমগীর হোসেন পলাশের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন বরগুনা জেলা নারী ও শিশু আদালত।

একই সাথে অপর আসামী ভাগ্নী জামাই আইজীবি মঈনুল আহসান বিপ্লবকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও তার সহকারী মহরার রিয়াজকে সাত বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে মামলার অপর আসামী আইজীবি মঈনুল আহসান বিপ্লবের স্ত্রী ইমা রহমানকে।

রবিবার দুপুরে বরগুনার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

এছাড়া একই আদেশে বিচারক মোঃ হাফিজুর রহমান মৃতদেহ লুকানো চেষ্টার অপরাধে আসামি প্রেমিক পলাশ ও আইনজীবী বিপ্লবকে সাত বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর বরগুনার আমতলী উপজেলা হাসপাতাল সংলগ্ন আইনজীবী বিপ্লবের বাসায় কলেজ ছাত্রী মালাকে প্রেমিক মামাতো ভগ্নিপতি পটুয়াখালী সুবিদখালী উপজেলার ভয়াং এলাকার লতিফ খানের পুত্র আলমগীর হোসেন পলাশ ও পলাশের ভাগ্নি জামাই বরগুনার আমতলী পৌরসভার বাসিন্দা আইনজীবী মইনুল আহসান বিপ্লব তার সহযোগী মহরার রিয়াজ জবাই করে হত্যা করে। পরে আসামীরা মৃতদেহ লুকানোর জন্য মৃতদেহটিকে সাত টুকরো করে পানিতে ধুয়ে দেহ থেকে রক্ত দূর করে দু’টি ড্রামে ভরে রাখে।

খবর পেয়ে পুলিশ আইনজীবী মাঈনুল আহসান বিপ্লবের বাসায় অভিযান চালিয়ে নিহত কলেজ ছাত্রী মালার ড্রাম ভর্তি সাত টুকরা মৃতদেহ উদ্ধার করে প্রেমিক পলাশকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে। ওই দিন রাতে আইনজীবি মাইনুল আহসান বিপ্লব, প্রেমিক পলাশ ও অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে আসামি করে আমতলী থানা পুলিশ একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

 

ছবি: বাঁ থেকে- ফারিয়া ইসলাম মালা, আলমগীর হোসেন পলাশ ও আইনজীবী মইনুল আহসান বিপ্লব

Print Friendly

Related Posts