মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নেই রোগীর চাপ, চিকিৎসা সেবা চলছে ঝিমিয়ে 

জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ: করোনাভাইরাসের কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে এক অনিশ্চয়তা। প্রতিটি মানুষের ভিতর মৃত্যুর ভয় বাসা বেঁধেছে, আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন রোগ বাসা বেঁধেছে মানব দেহে অথচ সামাজিক নিরাপদ দূরত্বের কারণে যেমন রোগীরা চিকিৎসা নিতে পারছে না হাসপাতালে, ঠিক তেমনি করোনা সংক্রামনের ভয়ে ডাক্তাররাও রোগী দেখছেন দায়সারা ভাবে।
রোববার (২৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে কয়েকজন রোগীকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে এমনই অবস্থা দেখা যায়। তবে বহিঃ বিভাগে তেমন কোন রোগীই দেখা যায়নি। অথচ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে প্রতিনিয়ত হাজারের উপরের বহিঃবিভাগ থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল এখন শুনশান নিরব। হাসপাতাল কম্পাউন্ডে নেই সেই ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টিভ, নেই ক্লিনিকের দালাল, নেই রোগীর স্বজনের জটলা এবং নেই বহিঃবিভাগের সামনে হাজারখানেক রোগীর লম্বা সিরিয়াল। মাঝে মাঝে দেখা মিলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে এক দুই জন রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে ফিরছেন।
সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের সন্ধা রানী  বলেন, প্রতি মাসে হাটু ও গ্যাস্ট্রিকের কারণে হাসপাতালে আসতে হয়। করোনার কারণে গত এক মাস হাসপাতালে আসি নাই, হাটু ব্যাথা বেড়ে যাওয়ার ফলে আজ আসছি। তবে ডাক্তাররা আগের মতো যত্ন না করে দেখেই ঔষধের নাম লিখে দিলো।
আসমা নামের আরো একজন বলেন,  ছয় মাসের ছোট বাচ্চা নিয়া হাসপাতালে আসছি সকাল বেলা, ডাক্তার আসছে কিন্তু তারা রোগী দেখতে কেমন কেমন যেন করে। অনেক দূর থেকে রোগী দেখে ঔষধের নাম লিখে দিচ্ছে।
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা.আরশেদ উল্লাহ  বলেন, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত বহিঃবিভাগ খোলা এবং জরুরী বিভাগ ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকে। তবে করোনা ভাইরাসের কারনে গনপরিবহন বন্ধ থাকায় উপজেলা গুলোথেকে কোন রোগী আসছে না । এছাড়া জরুরী বিভাগে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চিকিৎসকরা রোগী দেখছেন এবং রোষ্টার অনুয়াযি চিকিৎসকদের ডিউটি ভাগ করে দেওয়া হয়েছে করোনা সংক্রামনের কারণে, যাতে কোন চিকিৎসকের করোনা পজেটিভ হলে তাকে হোম কোয়ারেন্টোইনে রেখে অন্য চিকিৎসক দিয়ে এই সেবা প্রদান করা যায়।
Print Friendly

Related Posts