৮ হাজার অসহায় পরিবারের পাশে ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান

মো. রাসেল হোসেন: করোনা পরিস্থিতিতে দিন রাত পরিশ্রম করে, নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ঢাকার ধামরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো: মোহাদ্দেছ হোসেন। তিনি খাদ্যসামগ্রী নিয়ে অসহায় কর্মহীন মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌছিয়ে দিচ্ছেন।

ধামরাই উপজেলার যে কোন এলাকা থেকে ফোন পেলেই খাদ্য সংকটে পড়া পরিবারের বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তিনি।

ইতোমধ্যে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ যারা খাদ্য সংকটে পড়েছেন, তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে তালিকা তৈরি করে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন। তারই ধারাবাহিকতায় সকাল থেকে সন্ধ্যা এমনকি রাতেও উপজেলার কালামপুর, রঘুনাথপুর, যাদবপুর, শরীফবাগ,নাবরাবণ, আশুলিয়া, ইসলামপুর ঝৃষি পাড়া ঘুরে ঘুরে নিজের গাড়ি করে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ৬ হাজার পরিবারকে চাউল, ডাল, তৈল, আলু, লবণ, পেঁয়াজ ও একটি করে সাবান বিতরণ করেছেন। আরো ২ হাজার প্যাকেট তৈরি করা হচ্ছে। তিনি প্রায় ১০ হাজার পরিবারের মাঝে এই ত্রাণ বিতরণ করবেন।

তবে সরেজমিনে ঘুরে উপজেলার খাদ্যসামগ্রী পাওয়া কয়েকটি পরিবারের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা ভাবতেও পারিনি উপজেলা চেয়ারম্যান আমাদের বাড়িতে এসে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে যাবেন। খাদ্যসামগ্রী পেয়ে আমরা অনেক খুশি। এই দূর্যোগের সময়ে বাড়ি এসে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে যাওয়া কল্পনাও করতে পারিনি আমরা।

আজ খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ খায়রুল ইসলাম, ধামরাই পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ আমজাদ হোসেন, ধামরাই পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সানাউল হক সুজন, বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নূরে আলম নান্নু প্রমুখ।

এই সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে ধামরাই উপজেলার যে সকল পরিবার খাদ্য সংকটে পড়েছেন তারা আমাদের প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করলে আমি নিজে গাড়ি নিয়ে তাদের বাসায় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেব।

এর পূর্বে উপজেলা পর্যায়ে করোনা সংক্রমণ রোধে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে ওষুদের দোকান, মুদি দোকান ও কাঁচা বাজারের সামনে তিন ফিট অন্তর অন্তর গোল বৃত্ত একেঁ দেওয়া হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে এবং সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে। প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে হবে।

Print Friendly

Related Posts