বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সবচেয়ে ধারাবাহিক দল ছিল

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ২০১৯ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নে ইংল্যান্ডের বিমানে চড়েছিলেন মাশরাফিরা। দশ দলের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ আটে থেকে শেষ করে। নয় ম্যাচে পাঁচ পরাজয়ের বিপরীতে মাত্র তিন জয়। বৃষ্টিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়েছে এক ম্যাচে।

পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান ও ফলাফলের দিক থেকে যে কেউ-ই বলবে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল হতশ্রী। কিন্তু বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্বে দেওয়া ফাফ ডু প্লেসিস মনে করেন, ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সবচেয়ে ধারাবাহিক দল ছিল বাংলাদেশ। বুধবার রাতে তামিমের নিয়মিত লাইভ আড্ডার অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে আসেন ফাফ ডু প্লেসিস।

সেখানে বাংলাদেশকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক, ‘বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স রীতিমতো আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি এতোটাও প্রত্যাশা করিনি তোমাদের কাছ থেকে। আমি ধারণা করেছিলাম ‘‘কোল্ড অ্যান্ড হট’’ যেমন, একটা ভালো খেলা হবে, একটা গড়পড়তা ম্যাচ হবে। কিন্তু বাংলাদেশ টুর্নামেন্টে সবচেয়ে ধারাবাহিক দল ছিল। পাশাপাশি তোমাদের ব্যাটিং আমাদেরকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছিল।’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ রানের জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপর নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ম্যাচ হারে। বৃষ্টির কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাশরাফির দল। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত ও পাকিস্তান। দুই ম্যাচের দুটিতে জিতলে সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। পাশাপাশি ইংল্যান্ড-ভারতের ম্যাচে ভারত হারলে বাংলাদেশের সম্ভাবনা এগিয়ে থাকত। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় বিরাট কোহলির দল। ফলে বাংলাদেশের শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় শেষ দুই ম্যাচের আগেই। যদিও শেষটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। এশিয়ার দুই প্রতিপক্ষ ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে তেমন লড়াই করতে পারেনি মাশরাফিরা।

১৪৩ ওয়ানডে খেলা ফাফ ডু প্লেসিস বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছেন ৮ ম্যাচ। ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম খেলেছিলেন। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ৭৮ রানে। ২০১১ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পার্থক্য কোথায় ছিল জানতে চেয়েছিলেন তামিম।

উত্তরে ডু প্লেসিস বলেন, ‘আগে যেটা হতো বাংলাদেশ একজন বা দুইজন খেলোয়াড়ের উপর নির্ভরশীল থাকতো। ওই দুই-তিন উইকেট পেলেই হয়ে যেত। কিন্তু এখন দল অনেক উন্নতি করেছে। অনেক খেলোয়াড় এসেছে। বিশেষ করে স্পিনাররা দারুণ করছে। সাকিব সব সময়ই আকর্ষণীয় ছিল। এখন তাঁর সাথে একাধিক স্পিনার এসেছে। আবার  দ্রুত গতির বোলারা ভালো করছে। যেটা এশিয়ার দেশগুলোর জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। তোমাদের মূল চ্যালেঞ্জটা থাকে দেশের বাইরে। ওখানে পেস বোলিং বেশি খেলতে হয়। তখন পেসারদেরও একটা ভালো করার চ্যালেঞ্জ থাকে। ব্যাটসম্যানরা এখন অনেক আন্তর্জাতিক বোলারদের খেলছে। এখন বিদেশের মাটিতে তোমাদের অনেক খেলোয়াড়ই একশ’ করছে।’

Print Friendly

Related Posts