পবিত্র যিলকদ মাস শুরু

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের আকাশে সোমবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় ১৪৪১ হিজরি সনের পবিত্র যিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আজ মঙ্গলবার থেকে পবিত্র যিলকদ মাস গণনা শুরু হলো।

সোমবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঢাকায় বায়তুল মুকাররমের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ কথা জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু: আ: হামিদ জমাদ্দার।

সভায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মিজান-উল-আলম, ওয়াকফ প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম হুমায়ুন কবির সরকার, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (প্রেস) মো. শাহেনুর মিয়া, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মোঃ আবদুল মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জিলকদ হলো আরবি চান্দ্রবছরের একাদশ মাস। এটি হজের তিন মাসের (শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ) দ্বিতীয় মাস এবং জিলহজের (হজের মাস) জোড়া মাস। হারাম বা নিষিদ্ধ চার মাসের তৃতীয় মাস হলো এই মাস। হারাম চার মাস হলো মহররম (১ম মাস), রজব (৭ম মাস), জিলকদ (১১তম মাস) ও জিলহজ (১২তম মাস)।

হারাম চার মাসের মধ্যে যে তিনটি মাস একসঙ্গে, তার সূচনা মাস হলো জিলকদ মাস। ঈদুল ফিতর (শাওয়াল মাস) ও ঈদুল আজহার (জিলহজ মাস) মাঝামাঝিতে জিলকদ মাসের অবস্থান হওয়ায় এই মাসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

ঈদুল ফিতর (রোজার ঈদ) বিগত ও ঈদুল আজহা (কোরবানির ঈদ) সমাগত, মাঝে এই জিলকদ মাসে নির্দিষ্ট কোনো ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নতে মুআক্কাদা আমল নেই বিধায় এটি জিলকদ মাস বা বিশ্রামের মাস। এই সময় আরবের লোকজন বাণিজ্য থেকে ফিরে আসত, যুদ্ধ থেকে ফিরে আসত, তাই এই মাস বিশ্রামের মাস। ঋতুর পরিবর্তনে এই সময়টায় স্থানীয় আরবের লোকজনের হাতে তেমন কোনো কাজ থাকত না। আরব সংস্কৃতি অনুযায়ী তারা এই মাসে যুদ্ধবিগ্রহ থেকে বিরত থাকত এবং অন্যায়–অপরাধ (মদ্যপান) থেকেও নিবৃত্ত থাকত। এসব কারণেও এই মাসের নাম জিলকদ। (লিসানুল আরব, ইবনে মানজুর)।

Print Friendly

Related Posts