ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল ও গ্রাহক ভোগান্তি নিরসনে ক্যাব চট্টগ্রামের দাবি

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ করোনা মহামারী কালে গড় বিল, জুনের রাজস্ব আদায়ের টার্গেট পুরণের নামে ভুতুড়ে বিল নিয়ে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ভোগান্তি ও ৩০ জুনের মধ্যে মার্চ-জুনের বিল পরিশোধে বারবার মাইকিং, পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন, টেলিভিশনে সতর্ক বার্তা প্রদান করে প্রবল আপত্তির মুখে বিদ্যুৎ মন্ত্রনালয় ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে তদন্তে টাস্ক ফোর্স গঠন করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনকে দিয়ে।

এই টাস্ক ফোর্স অনেকটাই শাক-দিয়ে মাছ ঢাকার মতো। কারন যারা গড় বিল করার জন্য নির্দেশ দিয়ে তারাই আবার টাস্ক র্ফোর্সের সদস্য।

তাই টাস্ক ফোর্সকে পূনঃগঠন করে সেখানে ভোক্তাদের প্রতিনিধি হিসাবে ক্যাব প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম প্রতিনিধি অর্ন্তভুক্ত করার দাবি ও জুন পর্যন্ত বকেয়া বিলের জরিমানা আগামি আগষ্ট পর্যন্ত স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।

২ জুলাই ২০২০ গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস উপরোক্ত দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, করোনার মহামারীতে অধিকাংশ সাধারণ গ্রাহক আয় রোজগার কমে যাওয়া, অনেকে চাকুরী হারিয়ে বা বেতন কর্তনের মতো দুর্দশায় জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে কঠিন সময় পার করছেন, সে সময়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের উদ্ভট সিদ্ধান্ত গড় বিল ও ৩/৪গুণ অতিরিক্ত বিলের বোঝা চাপিয়ে সাধারণ ভোক্তাদের জন্য বিদ্যুৎ বিল আর একটি “মরার উপর খারার ঘা” হিসাবে আর্বিভুত হয়েছে। আবার ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মতো ঘোষনা শুধু অমানবিক নয়, অগ্রহণযোগ্য।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের ভেতরে একটি মহল সব সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে যে অভুত পুর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি হয়েছে তাকে ম্লান করার জন্য নানা রকমের নীল নকসা করার চেষ্টা করেন। মহামারী কঠিন সংকট কালে গড় বিল, ভুতড়ে বিল, জুনের টার্গেট প্রদান করে রাজস্ব আহরনের ঘটনাগুলি তারই অংশ কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।

নেতৃবৃন্দ বিষয়গুলি তৃতীয় কোন পক্ষকে দিয়ে তদন্তের দাবি করেন।

Print Friendly

Related Posts