পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি

জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ : নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যাত্রী ভোগান্তি লাঘবে বাস ও ছোট গাড়িগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌরুট পারাপার করছে কর্তৃপক্ষ। এতে করে ঘাট এলাকায় আটকে যাচ্ছে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক।
পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ট্রাক টার্মিনাল দুইটি সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকে ভরপুর। যে কারণে ঘাট এলাকার কয়েক কিলোমিটার আগেই মহাসড়কের উথুলী সংযোগ সড়ক থেকেই আটকে দেওয়া হচ্ছে ঘাটমুখী সাধারণ ট্রাক চালকদের।
এদিকে মহাসড়কের উথুলী সংযোগ সড়ক থেকে বরংগাইল পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকায় ঘাটমুখী যানবাহনের দীর্ঘ সারি রয়েছে। থেমে থেমে চলাচল করছে ঘাটমুখী এসব যানবাহন। সাত কিলোমিটার এলাকার পথ অতিক্রম করতে সময় লাগছে এক থেকে দেড় ঘন্টা।
প্রচন্ড গরমে পাটুরিয়া ফেরিঘাট ও মহাসড়কের ওই এলাকায় আগত যাত্রী ও যানবাহন শ্রমিকেরা পড়েছে সীমাহিন দুর্ভোগে। কেউ কেউ আবার পায়ে হেটে বা রিকশা ভ্যান করে আঞ্চলিক সড়ক হয়ে ঘাটমুখী যাত্রা করেছে।
শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে মহাসড়কে এই অচলাবস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ঢাকা আরিচা মহাসড়কের বরংগাইল থেকে উথুলী সংযোগ সড়ক এলাকা পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায় সরেজমিনে। ঘাট এলাকারেই পারের অপেক্ষায় রয়েছে বাস, ট্রাক ও ছোট গাড়ি মিলে ৫ শতাধিক যানবাহন।
পাটুরিয়ামুখী হানিফ পরিবহনের এক চালক বলেন, মহাসড়কের বরংগাইল থেকে টেপড়া পর্যন্ত ৪/৫ কিলোমিটার অতিক্রম করতে সময় লেগেছে এক ঘন্টা। প্রচন্ড গরমে বিরক্ত হয়ে বেশির ভাগ যাত্রীরা পায়ে হেঁটে ঘাটে চলে গেছে। সেখান থেকে আবার গাড়িতে উঠবে বলে জানান তিনি।
পাটুরিয়ামুখী ছোট গাড়ির চালক আদনান হোসেন বলেন, ঈদের সময়ে বাড়ি যেতেও এতো দুর্ভোগে পড়তে হয় না। অসময়ে এমন ভোগান্তি নিয়ে অব্যবস্থাপনাকে দায়ি করেন তিনি। দুই মিনিটের পথ অতিক্রম করতে এক ঘন্টা সময় অপেক্ষা করা বেশ কষ্টকর বলে মন্তব্য করেন আদনান।
বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ বাসুদেব সিনহা  বলেন, পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ঘাট এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মহাসড়কের উথুলী সংযোগ সড়কে ঘাটমুখী ট্রাকগুলোকে আটকে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি জমে যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে হাইওয়ে এবং জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৬ টি ফেরি রয়েছে। একটি ফেরি মেরামতে রয়েছে। বাকী সবগুলো চলাচল করছে। তবে নদীতে স্রোত এবং ঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে বলে জানান তিনি।
Print Friendly

Related Posts