ধলেশ্বরীর ১৩৪ কোটি টাকার বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুর যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘটায় বিপদ সীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদ সীমার ৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে করে শনিবার সকালে নাগরপুর উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর ঘোনাপাড়া পয়েট ১৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সদ্য নির্মিত বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বার্ড সূত্রে জানা যায়, বারপাখিয়া থেকে ঘোনাপাড়া পর্যন্ত ধলেশ্বরী নদীতে ১ শত ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনমাস আগে বেড়িবাঁধ নির্মান করা হয়।

বেড়িবাঁধটি মূলত ঘোনাপাড়াসহ আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাকে ধলেশ্বরী নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার জন্য নির্মান করা হয়। অথচ তিনমাস আগে বাঁধ নির্মিত হলেও তা এলাকাবাসীর কোনো উপকার আসলো না। গত কয়েক দিন ধলেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার (৪ জুলাই) সকালে নির্মিত বাঁধ ভেঙ্গে বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলের তিল, পাটসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নাগরপুরের হাজার হাজার মানুষ।

পানিবন্দি এসব মানুষ অভিযোগের সুরে বলেন, নদীর ভাঙ্গন ও প্লাবন থেকে বাঁচতে বাঁধ নির্মান করা হলেও তা আমাদের কোনো কাজেই আসলো না। এদিকে হঠাৎ করে পানি ঢুকে পড়ায় গবাদী পশু ও ফসল নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন পানিবন্দি এসব মানুষ।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারনে যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদ সীমার ৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বেড়িবাঁধের নিচের অংশের ব্লকগুলো সরে গিয়ে এবং নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাঁধের উপর দিয়ে উঠে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে।

এছাড়া মাটির তৈরি আরো একটি বাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আমরা আপদকালীন সময় বেড়িবাঁধের ভেঙ্গে যাওয়া অংশ পাথরের ব্লক ফেলে মেরামত করার উদ্যাগে নিয়েছি।

 

 

 

 

 

Print Friendly

Related Posts