টুং টাং শব্দে মুখরিত ভোলার কামারশালা

জুবায়ের চৌধুরী পার্থ, ভোলা: আর মাত্র কয়দিন বাদেই ঈদ-উল-আযহা।দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই ব্যস্থতা বাড়ছে ভোলার কামারশালা গুলোতে। আগুনের ফুলকিতে গরম লোহায় দিন রাত হাতুড়ির টুং টাং শব্দে মুখরিত ভোলার কামারশালাগুলো।

আধুনিক প্রযুক্তির ছোয়ায় কামারশালা প্রায় বিলুপ্ত।সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছেনা এ শিল্পের সাথে জড়িতরা। উল্টো প্রযুক্তির দাপটে ক্রমেই মার খাচ্ছে এ শিল্প। বছরের ১১ মাস কামারশালায় কোন কাজ থাকে না বললেই চলে। কাজ না থাকায় জীবিকার তাগিদে অনেকেই এ পেশা বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার অন্য কোন পেশার কাজ না থাকায় এ শিল্পের অনেকেই আবার বেকার হয়ে পরেছেন।

কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ব্যপক ব্যস্ততায় দিন কাটছে ভোলার কামারশালায়। পশু কোরবানির মধ্যে দিয়ে ধর্মপ্রান মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় শেষ মূহুর্তে প্রস্থুতি নিতে শুরু করেছেন। আর এ সব পশু কাটাকাটিতে চাই দা, ছুড়ি, বটি, চাপাতি, কুড়াল ইত্যাদি।

প্রতি বছর ঈদুল আযহা আসার আগের এক-দেড় মাস কামারশালায় ব্যস্ততা দেখা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম না। আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কামারশালায় কাজ করা ওস্তাদ ও সাগরিদরা ব্যস্ত সময় পার করছেন, যেন দম ফেলার সময় নেই। দিন রাত বিরামহীন পরিশ্রম করে এ সকল জিনিসপত্র তৈরী করছেন তারা।

কামার কাজল দাস বলেন, কামারশালার আগের সেই স্বর্ন যুগ আর নেই। বর্তমান যুগটা প্রযুক্তির ছোয়ার উপর নির্ভর হয়ে পরেছেন, তাইতো আমাদের তৈরি করা পন্যের চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে।

তিনি আরোও জানান, অনেকেই কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য বড় ছোট ছুরি, চাপাতি, চাকু নতুন করে বানিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ পুরাতন জিনিসপত্র সংস্কার করতে নিয়ে এসেছে আমাদের কাছে।

অধিকাংশ দোকানীই তাদের নিজেদের তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করছেন।আবার কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ী আছে যারা শুধু ঈদের সময়ই এ ব্যবসা করে থাকেন। সব মিলিয়ে দিন থেকে মধ্যে রাত অবদি জেগে থেকে কাজ করে ভালই কাটছে ভোলার কামারশালার কামারদের।

 

 

 

Print Friendly

Related Posts