তুরস্কে ঐতিহাসিক হাইয়া সোফিয়ায় ৮৬ বছর পর জুমার নামাজ আদায়

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ দীর্ঘ ৮৬ বছর পর তুরস্কের ঐতিহাসিক হাইয়া সোফিয়ায় জুমার নামাজ আদায় করলেন মুসলমানরা।

কোভিড-১৯ এর সময়েই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে হাইয়া সোফিয়ার অভ্যন্তরে ও আশপাশের এলাকায় জুমার নামাজে অংশ নিয়েছেন হাজারো মুসল্লি।

আল জাজিরা বলছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ঐতিহাসিক এই স্থাপনাকে পুনরায় মসজিদে পরিণত করার পর আজ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হলো। এর মধ্যদিয়ে ৮৬ বছর পর মসজিদের যুগে প্রবেশ করলো হাইয়া সোফিয়া।

এরআগে বৃহস্পতিবার তুরস্কের ধর্ম মন্ত্রণালয় হাইয়া সোফিয়ায় নামাজ পরিচালনার জন্য ৩ জন ইমাম নিযুক্ত করেন এবং আজানের জন্য মুয়াজ্জিন নিয়োগ করা হয় ৫ জন।

বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যে মূলত হাইয়া সোফিয়া ছিলো খ্রিস্টানদের একটি গির্জা। অটোমান সুলতান দ্বিতীয় মোহাম্মদ ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে ইস্তাম্বুল বিজয়ের পর এটাকে মসজিদে পরিণত করেন।

সেই থেকে ১৯৩৪ সাল পযন্ত প্রায় ৫ বছর এটি মসজিদ ছিলো। কিন্তু ১৯৩৪ সালে তুর্কি খেলাফতের পতনের মধ্যদিয়ে হাইয়া সোফিয়াকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়।

অবশেষে ১০ জুলাই তুরস্কের আদালত জাদুঘরে পরিণত করার সেই ডিগ্রি বাতিল করে মসজিদে ফিরিয়ে আনার রায় দেন। আর সেই রায়ে স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপে এরদগোন।

১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক হাইয়া সোফিয়া বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য তুরস্কের সর্বাধিক দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিলো। তবে এখনো এটিকে দর্শনীয় স্থান হিসেবে উন্মুক্ত রাখা হবে।

হাইয়া সোফিয়া মসজিদে রূপান্তর হওয়ার পর এটি পরিচালনার জন্য সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি সহযোগিতা প্রোটোকল স্বাক্ষরিত হয়। প্রোটোকলের অধীনে সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয় পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের কাজ তদারকি করবে। ধর্ম বিষয়ক অধিদপ্তর দেখাশোনা করবে ধর্মীয় বিষয়গুলো।

Print Friendly

Related Posts