সৌদির সাথে মিল রেখে ১২ জেলায় ঈদুল আযহা পালিত

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে দেশের ১২ জেলায় পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত হচ্ছে আজ শুক্রবার।

চাঁদপুর

সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা।

হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফ সংলগ্ন বায়তুল মামুর জামে মসজিদে সকাল পৌনে ৮ টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজে ইমামতি করেন সাদ্রা রহমানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা কাউছার হামিদ নেছারী।

ফরিদগঞ্জের মুন্সিরহাটে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায়। ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ আবুল খায়ের। এ সময় শতাধিক মুসল্লি ঈদের জামাতে অংশ নেয়। পরে ক্রমান্বয়ে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব, কচুয়া ও শাহরাস্তিসহ ৫ উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রামে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ শুক্রবার আগাম ঈদ উদযাপন করছে। নামাজ শেষে দেশের শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়।

১৯২৯ খৃষ্টাব্দে দেশে আগাম ঈদের প্রচলন করেন সাদ্রা দরবার শরীফের তৎকালিন পীর মরহুম ইসহাক চৌধুরী। সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে দীর্ঘ ৯২ বছর যাবৎ এসব গ্রামে আগাম ঈদ পালিত হয়ে আসছে।

বরিশাল

সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে বরিশাল নগরীর দুইটি মসজিদে ঈদুল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ নং ওয়ার্ডের তাজকাঠি শাহসুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদে সকাল পৌনে নয়টায় জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা মো.দেলোয়ার হোসেন। এছাড়া জেলার অন্যান্য উপজেলায় এই অনুসারীদের জামাত ও কুরবানি অনুষ্ঠিত হয়।

নোয়াখালী

একইভাবে শুক্রবার পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করছে নোয়াখালীর ৩টি মসজিদের মুসল্লিরা।

শুক্রবার সকাল ৯টায় বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বসন্ত বাগ গ্রামের মুন্সি বাড়ির দরজা জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে, বেগমগঞ্জের জিরতলী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রাম জামে মসজিদে ও নোয়াখালী পৌরসভা এলাকায় হরিনারায়ণপুর ব্যান্ডার মসজিদের পূর্ব পাশে দায়রা ঘরে ঈদুল আযহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় সুশৃঙ্খলভাবে ঈদুল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয়রা আরও জানান, বসন্ত বাগ গ্রামের ঈদের জামাতে ২০০-২৫০ জন মুসল্লি, নোয়াখালী পৌরসভা হরিনারায়ণ পুর ব্যান্ডার মসজিদের পূর্ব পাশে দায়রা ঘরে ২২ জন মুসল্লি, জিরতলী ফাজিলপুর গ্রামের মসজিদে ১০০-১৫০ জন মুসল্লি ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো.আলমগীর হোসেন বলেন, ৩টি মসজিদের মুসল্লিরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে শুক্রবার ঈদুল আযহা উদযাপন করেছে।

মাদারীপুর

মাদারীপুরের ৪ উপজেলার ৩০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার সুরেশ্বরী মুরিদানরা শুক্রবার কোরবানীর ঈদ উদযাপন করছেন। তবে করোনার কারণে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার এলাকার তিনটি মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা গেছে, প্রায় দেড়‘শ বছর পূর্ব থেকে বাংলাদেশে সুরেশ্বর দরবার শরীফের মুরিদানারা সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহা উদযাপন করে আসছে।

সে হিসেবে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, কাতলা, তাল্লুক, খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর, পখিরা, খোয়াজপুর, কুনিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর, কালিকাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর, হোসনাবাদ, ছিলারচর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর, আংগুলকাটা, হাজামবাড়ী, কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের আন্ডারচর, কয়ারিয়া, রামারপুল ও শিবচর উপজেলার বাহেরচর, কেরানীরবাটসহ ৩০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ঈদ-উল-আযহা উদযাপন করছেন।

শুক্রবার সকালে ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানী দিয়ে ঈদ-উল-আযহার মূল আনুষ্ঠানিকতা পালন করেছেন তারা।

শেরপুর

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশের সঙ্গে  মিল রেখে শেরপুরের বিভিন্ন স্থানে আগাম পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা । শেরপুর সদরের উত্তর চরখারচর ও দক্ষিণ চরখারচর, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া ও গোবিন্দনগর ছয়আনি পাড়া, নকলা উপজেলার নারায়নখোলা ও চরকৈয়া এবং ঝিনাইগাতি উপজেলার বনগাঁও চতল গ্রামে পৃথকভাবে শুক্রবার (৩১ আগষ্ট) পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হয়।

সকাল  ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে পৃথক এসব স্থানে মুসল্লিরা পবিত্র ঈদের নামাজ আদায় করেন।  সকাল ৮ টায় শেরপুরের নকলা উপজেলার চরকৈয়া গ্রামের মসজিদে শতাধিক মুসল্লি ও পর্দার আড়ালে বেশ কিছু নারী জামাতের সঙ্গে ঈদুল আজহার নামাজ  আদায় করেন। এতে ইমামতি করেন সারোয়ার জাহান। তিনি জানান, তারা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে  দিনের মিল রেখে দীর্ঘদিন ধরে রোজা ও ঈদের জামাতসহ অন্যান্য ধর্মীয় কার্যক্রমগুলো করে আসছেন। তারা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইনের বাহিরে কোনও কাজ করেন না বলেই তাদের জামাত চলাকালীন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে থানা পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে নিরাপত্তা দেওয়া হয়।

দিনাজপুর

দিনাজপুরের সদর, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, বিরামপুর ও কাহারোল উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করছে প্রায় দুই হাজার পরিবার। এসব পরিবারের মুসল্লিরা জেলার বিভিন্ন স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় দিনাজপুর শহরের বাসুনিয়াপট্টি এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে (পার্টি সেন্টার) ঈদের জামায়াতে শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন। জামায়াতে ঈমামতি করেন মাওলানা সাইফুল ইসলাম। জেলা শহরের বেশ কিছু এলাকায় মুসল্লিরা এই নামাজ আদায় করেন।

এছাড়াও দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতাড়া ও রাবার ড্যাম এলাকা, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ ও গড়েয়া বাজার, বিরামপুর ও পার্বতীপুর উপজেলায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

লালমনিরহাট

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে তিন ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহার নামাজ ও কোরবারি পালন করেছেন। শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ও তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবি চন্দ্রপুর ইউনিয়নের পানি খাওয়ার ঘাট ও একই ইউনিয়নের বোতলা এলাকায় এই ঈদের জামাত হয়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে অনেক আগে থেকে কাকিনা-তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবি, চন্দ্রপুর ইউনিয়নের বোতলা ও পানি খাওয়ার ঘাট এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে কিছু মানুষ। এবার সুন্দ্রাহবিতে প্রায় ১৪০ জন, পানি খাওয়ার  ঘাটে প্রায় ১৩০ জন ও বোতলা এলাকায় প্রায় ৫০/৬০ জন মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন। তারা পশু কোরবানিও করেছেন। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাফিজ উদ্দিন ইসলাম বলেন, বোতলা এলাকার আহলে হাদীসের অনুসারী লোকজন সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন। তাদের যুক্তি হলো- শুক্রবার ও প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় যদি ঠিক ঠিক সময়ে হতে পারে বাংলাদেশে। তাহলে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ এবং কোরবানি কেন এক সঙ্গে করা যাবে না। অনেক আগে থেকে সেখানে এই রেওয়াজ চালু আছে বলে জানান তিনি।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও সুন্দ্রাহবি, বোতলা ও পানি খাওয়ার ঘাট এলাকায় কিছু মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় ও পছন্দের পশু কোরবারি করেছেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে এসব এলাকার মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয় মুসল্লিরা। বিষয়টি নজরদারি করার জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে।

ঝিনাইদহ

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কয়েকটি গ্রামের শতাধিক লোক ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকালে উপজেলা শহরের চটকাবাড়িয়া ঈদগাপাড়া জামে মসজিদে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন রেজাউল ইসলাম।

দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে হরিণাকুন্ডু উপজেলার চিথলীপাড়া, ভালকী, বৈঠাপড়া ও ফলসিসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ঈুদল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে আসছেন।

হরিনাকুন্ডু পৌরসভার মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টু বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দীর্ঘদিন ধরে এখানে ঈদের জামাত পড়া হচ্ছে। এবারই সেই ধারাবাহিকতায় ঈদের জামাত পড়েছেন কিছু লোক। জামাত শেষে তারা কোরবানিও করেছেন।’

ভোলা

ভোলার ছয় উপ‌জেলার ২০ গ্রা‌মের ১৫ হাজার মানুষ আজ শুক্রবার (৩১ জুলা) আগাম ঈদুল আজহা উদযাপন কর‌ছেন। শুক্রবার সকাল ১০টার দি‌কে ভোলার বোরহানউ‌দ্দিন উপ‌জেলার টবগী ইউ‌নিয়‌নের মুলাইপত্তন গ্রা‌মের মজনু মিয়ার বা‌ড়ির দরজায় শু‌রেশ্বরী ধর্মাবলম্বী‌দের ঈ‌দের  জামাত অনু‌ষ্ঠিত হয়। এ জামা‌তে চার গ্রা‌মের প্রায় পাঁচ শতা‌ধিক মানুষ নামা‌জে অংশ নেন।

প‌রে পর্যায়ক্রমে ভোলা সদর, তজুম‌দ্দিন, লাল‌মোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপ‌জেলার বি‌ভিন্ন গ্রা‌মে পৃথক পৃথক ঈ‌দের জামাত অনু‌ষ্ঠিত হয়। প‌রে পশু কোরবানি দেওয়া হয়।

বোরহানউ‌দ্দিন উপ‌জেলার মুলাইপত্তন গ্রা‌মের শু‌রেশ্বরী‌দের মোয়া‌জ্জেম মজনু মিয়া জানান, আ‌দিকাল থে‌কে আমরা মক্কা ম‌দিনার ওপর নির্ভর ক‌রে শু‌রেশ্বরী দরবার শরী‌ফের অনুসারীরা ঈদ পালন ক‌রি। এবারও তাই ক‌রে‌ছি।

নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টায় হযরত শাহ্ সুফী মমতাজিয়া এতিমখানা ও হেফজখানা মাদ্রাসায় ‘জাহাগিরিয়া তরিকার’ অনুসারিরা ঈদের জামাত পড়েন। প্রতি বছরের মতো গাজীপুরের টঙ্গী, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, পুরাতন ঢাকা, ডেমরা, সাভার এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ,বন্দর ও সোনারগাঁ উপজেলা থেকে মুসল্লিরা এতে অংশ নেন। ঈদের জামাতের ইমামের দায়িত্ব পালন করেন হযরত শাহ্ সুফী মমতাজিয়া মাদ্রাসার হাফেজ মাওলানা আনোয়ার হোসেন শুভ। ঈদের জামাত শেষে  দেশ ও জাতির সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে করোনা মহামারি থেকে বাংলাদেশকে হেফাজত করার জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া করা হয়। জামাত শেষে কোরবানির পশু জবাই করেন তারা।

কুড়িগ্রাম

কু‌ড়িগ্রা‌মের রাজীবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের এক‌টি গ্রামে ঈদুল আযহা উদযাপন হ‌য়ে‌ছে। শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকা‌লে সৌ‌দি আর‌বের সঙ্গে মিল রে‌খে ওই গ্রা‌মের মানুষ ঈদুল আযহার নামাজ আদায় ক‌রেন। নামাজ শে‌ষে তারা পশু কোরবা‌নি দেন। মোহনগঞ্জ ইউ‌নিয়‌নের চেয়ারম্যান আ‌নোয়ার হো‌সেন এ তথ্য জা‌নি‌য়ে‌ছেন।

মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাজীবপুর উপ‌জেলার মোহনগ‌ঞ্জের দিয়ারার চর ও এর পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার ‌দেওয়ানগঞ্জ উপ‌জেলার ডাংধরা ইউ‌নিয়নের ‌জোয়া‌নের চর চৌধুরী পাড়া (খাঁ পাড়া) গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করে থা‌কে। এটা এখা‌নে স্বাভা‌বিক নিয়ম হ‌য়ে গে‌ছে।’

রাজীবপুর উপ‌জেলার বা‌সিন্দা রূহুল সরকার বলেন, ‘দিয়ারার চরসহ জোয়া‌নের চর গ্রা‌মের কিছু অংশ মোহনগঞ্জ ইউ‌নিয়নের সীমায় প‌ড়ে‌ছে। ওই দুই গ্রা‌মের বা‌সিন্দা অ‌নেক আ‌গে থে‌কেই সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা, ঈদ উদযাপন এবং কোরবা‌নি ক‌রে থা‌কেন। খুব সকা‌লেই তারা ঈ‌দের আনুষ্ঠা‌নিকতা সে‌রে ফে‌লেন। এটা নি‌য়ে এলাকায় কোনও সমস্যাও হয় না।’

 

লক্ষ্মীপুর

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে লক্ষ্মীপুরে ১১টি গ্রামে আজ শুক্রবার  ঈদুল আযহা উদযাপিত হচ্ছে।

রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, বারো ঘরিয়া, হোটাটিয়া, শরশোই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপা ও সদর উপজেলার বশিকপুরসহ ১১টি গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক মুসল্লী ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।

সকাল ৭টায় রামগঞ্জ উপজেলার খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসায় ও নোয়াগাঁও বাজারের দক্ষিণ-পূর্ব নোয়াগাঁও ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা রুহুল আমিন। এসব গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক মুসল্লী পৃথক পৃথক ভাবে স্ব স্ব ঈদের গাঁ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

মাওলানা ইসহাক (রাঃ) অনুসারী হিসেবে এসব এলাকার মানুষ পবিত্র ভূমি মক্কা ও মদিনার সাথে সঙ্গতি রেখে ঈদসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে। এসব গ্রামের মুসল্লীরা গত ৪০ বছর যাবত সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদ্যাপন করে আসছেন।

Print Friendly

Related Posts