দেশে চলতি মাসেই চীনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে চীনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। আইসিডিডিআরবি’র তত্ত্বাবধানে ঢাকার ৭টি হাসপাতালের ৪ হাজার ২শ স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিষেধকটি প্রয়োগ করা হবে। কার্যকারিতার ফলাফল পেতে সময় লাগবে ৬ থেকে ৮ মাস।

আইসিডিডিআরবি’র জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ডক্টর ফেরদৌসী কাদরী বলেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে মানুষ ভ্যাকসিনটি পাবেন বলে তারা আশা করছেন।

চীনা কোম্পানি সাইনোভ্যাকের ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সরকারের নির্দেশে কাজটি করছে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি।

প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী জানিয়েছেন: ৪ হাজার ২০০ জন ডাক্তার-নার্স থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীকে আমাদের নিযুক্ত করতে হবে ট্রায়ালের জন্য। এ কার্যক্রম চলবে মোট ৭টি হাসপাতালে।

তিনি আরও জানান: এ মাসেই আমরা ট্রায়ালের কাজ শুরু করতে পারবো। লোকবল নিযুক্ত করে ট্রায়ালের জন্য আমরা ধরে নিয়েছি দু’মাসের মতো সময় লাগবে হয়তো। এরপর এটা কার্যকরিতা থেকে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করতে ৬ থেকে ৮ মাস মতো সময় লেগে যাবে।

পরীক্ষায় সফল হলে কখন এ ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ? এমন প্রশ্নের জবাবে কাদরী জানান: আমি খুবই আশাবাদী আগামী বছরের মাঝামাঝি আমরা ভ্যাকসিনেশন শুরু করতে পারবো। আবার মাঝামাঝি সময়ের আগেও আমরা ভ্যাকসিন হাতে পেয়ে যেতে পারি।

আইসিডিডিআরবি’র এ বিজ্ঞানী বলছেন: সাধারণের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হলেও স্বাস্থ্যবিধিগুলো সবসময় মেনে চলতে হবে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রায় ২শ’টির মতো ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে বিভিন্ন দেশে। এর মধ্যে ৫১টি প্রতিষেধক প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শেষ করেছে। আর ৯টি ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে আছে। স্থানীয় একটি কোম্পানি এরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালালেও বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য অক্সফোর্ড এবং চীনের ভ্যাকসিন।

Print Friendly

Related Posts