শেখ রেহানার ৬৫তম জন্মদিন

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ শুভ জন্মদিন। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সহোদরা শেখ রেহানার ৬৫তম জন্মদিন আজ।

১৯৫৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

ছোট বোন শেখ রেহানাকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে আর্শিবাদ করেছেন তার বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খালা শেখ রেহানাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, মেয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকী, ছেলে রেদওয়ান সিদ্দিকী ও ছোট মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকী রুপন্তী মায়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এছাড়াও জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেখ রেহানাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু পরিবারের কনিষ্ঠ মেয়ে রেহানা। মায়ের ডাক নাম রেণুর প্রথম অক্ষর আর বড়বোন হাসিনার শেষের অক্ষর অক্ষুণ্ণ রেখে নাম। পারিবারিক পদবি যুক্ত হয়ে পরিপূর্ণ নাম শেখ রেহানা। অতি আদরের ছোট ভাই রাসেলের কাছে যিনি ছিলেন ‘দেনা’ আপা। রাসেলের দেনা আপা কিংবা বাবা-মায়ের আদরের রেহানা বা মুন্নার জন্ম এমন ও বেড়ে ওঠা এমন এক সময়ে যখন বঙ্গবন্ধু ধীরে ধীরে হয়ে উঠছেন বাঙালি জাতির সব আশা-ভরসার মূর্তপ্রতীক। বাংলা ও বাঙালির মুক্তির প্রতিকৃত। জেল-জুলুম-নির্যাতন যার নিত্যসঙ্গী। শেখ রেহানা যখন বুঝতে শিখেছেন, তখনই দেখেছেন বাবা শেখ মুজিব বাঙালি জাতির শোষণমুক্তির জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর কারাগারে। কারাগারই যেন তার মূল বাড়ি। আর নিজ বাড়িতে তিনি যেন ক্ষণিকের অতিথি। ঈদ-পার্বণে প্রায়ই তিনি কারাগারে। যদিওবা কখনো তিনি বাড়িতে থাকার সুযোগ পেতেন তখন বঙ্গবন্ধু পরিবারে সে বছরের ঈদ হতো সবচেয়ে সেরা ঈদ।

শেখ রেহানা এক স্মৃতিচারণে লিখেছেন, ‘ছোটবেলায় দেখতাম, আব্বা প্রায়ই থাকতেন জেলখানায়। আমদের কাছে ঈদ ছিল তখন, যখন আব্বা জেলখানার বাইরে থাকতেন, মুক্ত থাকতেন। আব্বাও জেলের বাইরে, ঈদও এলো এমন হলে তো কথাই নেই। আমদের হতো ডাবল ঈদ।’

শেখ রেহানার বিয়ে সম্পন্ন হয় লন্ডনের কিলবার্নে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সুখ দুঃখের সাথী, বঙ্গবন্ধুর ফুফাতো ভাই মোমিনুল হক খোকার বাড়িতে ১৯৭৭ সালের জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে ড. শফিক সিদ্দিকের সাথে বিয়ে হয়। শফিক সিদ্দিক তখন বিলেতের সাউদাম্পটন ইউনিভার্সিটিতে উচ্চ শিক্ষারত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় থাকাকালীন তিনি সেখানে এসেছিলেন। শেখ রেহানাও বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শহীদ হওয়ার পর বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে জার্মান থেকে দিল্লি চলে যান এবং সেখান থেকে পরে তাদের প্রিয় খোকা চাচার কাছে লন্ডনে এসে বসবাস শুরু করেন। শফিক সিদ্দিকের পরিবার ও শেখ রেহানাদের পরিবার ছিলেন পূর্ব পরিচিত এবং ১৯৭৪ সালেই পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের পাকা কথা হয়েছিল।

বড় মেয়েকে ব্রিটেনের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করেছেন। লেবার পার্টি থেকে দুবার এমপি হয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। ছেলে রাদওয়ান সিদ্দিক ববি আওয়ামী লীগের গবেষণা কাউন্সিল সিআরআইয়ের সঙ্গে যুক্ত।

Print Friendly

Related Posts