যুবলীগের ২০১ জনের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঠাঁই হলো যাদের

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হয়েছে। ঘোষিত কমিটিতে ঠাঁই হয়েছে ২০১ জনের। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর সদস্য সংখ্যার আকারে এটি সবচেয়ে বড় কমিটি।

সংগঠনের সভাপতিসহ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের পদ রাখা হয়েছে ২৮টি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পাঁচটি, সাংগঠনিক সম্পাদক পদ নয়টি, সহ-সম্পাদক পদ ৪১টি, অন্যান্য সম্পাদকমণ্ডলীর পদ ৪২টি ও সদস্য পদ রাখা হয়েছে ৭৫টি।

এরমধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের পাঁচটি, সহ-সম্পাদকের চারটি ও নির্বাহী সদস্যের পাঁচটি পদ খালি রাখা হয়েছে। অর্থাৎ কমিটির ২০১ সদস্যের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বাদে ১৯৯টি পদের মধ্যে ১৮৫টি পদ পূরণ করা হয়েছে। সংগঠনটির সর্বোবৃহৎ কমিটিতে এখন পদ খালি রয়েছে ১৪টি।

এই ১৮৫ জনের মধ্যে কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন কয়েকজন সংসদ সদস্য, সাবেক ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন জেলা থেকে ওঠে এসেছে নতুন মুখ, সিসি কমিটির সদস্য ও সাবেক কমিটির বেশ কয়েকজন। কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন কয়েকজন সাংবাদিক।

নতুন কমিটিতে বাদ পড়েছেন যুবলীগের গত কমিটির বিতর্কিত নেতারা। পাশাপাশি বয়স ৫৫ বছরের বেশি হওয়ায় বাদ পড়েছেন ৭০ জনের বেশি।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের পদ রাখা হয়েছে ২৮টি। এরমধ্যে সংগঠনের সভাপতি তার পদাধিকার বলে এ পর্ষদের সদস্য। সভাপতি বাদে বাকি ২৭টি পদের মধ্যে পাঁচটি পদ খালি রেখে ২২টি নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই ২২ জনের মধ্যে চারজন সংসদ সদস্য রয়েছেন।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদে এসেছেন- অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, আবু আহমেদ নাসিম পাভেল, শেখ সোহেল উদ্দিন, ডা. খালেদ শওকত আলী, শেখ ফজলে ফাহিম, মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন (এমপি), ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি, তাজউদ্দিন আহমেদ, জুয়েল আরেং (এমপি), জসিম মাতব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন, শাহাদাত হোসেন তসলিম, মো. রফিকুল ইসলাম (সাতক্ষীরা), মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী (এমপি), মো. এনামুল হক খান, ডা. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হালদার ও ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ (এমপি)।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে পাঁচজনকে। তারা হলেন- বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মো. বদিউল আলম, ব্যারিস্টার ফজলে নাঈম, রফিকুল আলম জোমাদ্দার।

সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে রাখা হয়েছে নয়জনকে। তারা হলেন- কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহিদুল হক রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাডভোকেট মো. শামীম আল সাইফুল সোহাগ ও প্রফেসর ড. মো. রেজাউল কবির।

সহ-সম্পাদকের পদ রাখা হয়েছে ৪১টি। এরমধ্যে চারটি পদ খালি রেখে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পদ পেয়েছেন- মো. সাইফুল আলম সাইফুল, সাইফুল ইসলাম শাহিন পাটোয়ারী, মো. বেলাল হোসেন ফিরোজ, আবির মাহমুদ ইমরান, তোফাজ্জল হোসেন, মো. আতাউর রহমান উজ্জল, মো. মামুন আজাদ, মির্জা মো. নাসিউল আলম শুভ্র, মো. রাজু আহমেদ, গোলাম ফেরদৌস ইবরাহিম, মো. মাইদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান, আলামিনুল হক আলামিন, জামিল আহমেদ, মো. আব্দুর রহমান জীবন, নাজমুল হুদা ওয়ারেশি চঞ্চল, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. আজিজুর রহমান সরকার, সামিউল আমিন, মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ, ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুজ্জামান, মো. মনিরুজ্জামান পিন্টু, মো. মনিরুল ইসলাম আকাশ, জি এম ওয়াহেদ পারভেজ, মো. জয়নাল আবেদিন রিগান, ডা. মনজুরুল ইসলাম ভুইয়া রাফি, মো. নাসির উদ্দিন মিন্টু, মো. আলমগীর হোসেন শাহ জয়, কামরুল হাসান লিংকন, রাজিব আহমেদ তালুকদার, মো. বাবলুর রহমান বাবলু, একেএম মোক্তাদির রহমান শিমুল, হিমেদুর রহমান হিমেল, এহতেশামুল হাসান ভুইয়া রুমি, মো. রাশেদুল ইসলাম সাফিন, মনোয়ারুল ইসলাম মাসুদ, মো. আবু রায়হান রুবেল, সাইফুল ইসলাম সাইফ, ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুজ্জামান, মো. মনিরুজ্জামান পিন্টু, মো. মনিরুল ইসলাম আকাশ, জি এম ওয়াহেদ পারভেজ, মো. জয়লাল আবেদীন চৌধুরী রিপন, ডা. মো. মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া রাফি ও মো. নাসির উদ্দিন মিন্টু।

এছাড়া প্রচার সম্পাদক হয়েছেন জয়দেব নন্দী। দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ। আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিল্টন, অর্থ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন, শিক্ষা-প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক ব্যারিস্টার আলী আসিফ খান রাজিব, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সরোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শামীম খান, তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) বিষয়ক সম্পাদক মো. শামসুল আলম অনিক, সংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. মো. ফরিদ রায়হান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মো. মহি উদ্দিন, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান সম্পাদক শাহীন মালুম, ক্রীড়া সম্পাদক নিজামউদ্দিন চৌধুরী পারভেজ, পরিবেশ সম্পাদক হারিস মিয়া শেখ সাগর, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আব্দুল হাই, কৃষ্টি ও সমবায় সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরী, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, মহিলা সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুক্তা আক্তার।

উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আদিত্য নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-অর্থ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম দুর্জয়, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. এনামুল হোসেন সুমন, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বি স্বরণ, উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. মাহফুজুর রহমান উজ্জল, উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শেখ মো. মিছির আলী, উপ-জনশক্তি ও কর্মসংস্থান সম্পাদক শামসুল কবির রাহাত, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. আব্দুর রহিম, উপ-পরিবেশ সম্পাদক মো. সামসুল আলম পাটোয়ারি, উপ-শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মো. ফিরোজ আল-আমিন, উপ-কৃষি ও সমবায় সম্পাদক মোল্লা রওশন জামিল রানা, উপ-মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, উপ মহিলা সম্পাদক সৈয়াদা সানজিদা শারমীন।

সদস্য পদ রয়েছে ৭৫টি। এরমধ্যে কয়েকটি পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে। বাকি পদগুলো ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসে সংগঠনটির সভাপতি পদে আসেন শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসেন মাঈনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণার এক বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হলো।

Print Friendly

Related Posts