১৭ ও ২০ জাতের বিনাধান দ্রুত উচ্চ ফলনশীল

বাহুবলে নমুনা ফসল কর্তন ও মাঠ দিবসে তথ্য প্রকাশ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলে বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল স্বল্পকালীন আমন জাত বিনাধান ১৭ ও ২০ এর প্রচার এবং সম্প্রসারণের লক্ষে নমুনা ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ নবেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ও বাহুবল উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের হাফিজপুর গ্রামের কৃষক তৌহিদ মিয়ার বাড়িতে এ মাঠ দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাহুবল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ও দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরিচালনায় এতে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বিনা ময়মনসিংহের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিনা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. হাসানুজ্জামান রনি, সুনামগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান ও মোঃ তাজুল ইসলাম, লামাতাসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চৌধুরী টেনু।

বক্তব্য রাখেন- রামপুর কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সংগীতা রাণী সাহা, সাংবাদিক মোঃ মামুন চৌধুরী প্রমুখ।

আলোচনা শেষে কৃষকদের সাথে নিয়ে মাঠ দিবস পালন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রায় ৬০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

সভায় জানানো হয়, অল্প সময়ে অধিক ফলনের বিনা-১৭ ও ২০ আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ ধান একদিকে যেমন কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে, অন্যদিকে অসময়ে বাজারে ধান ও চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় চাল ও ধানের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এ ধানের ফলনে কৃষকের মুখে হাসি দেখে আরও অনেক কৃষক চাষে এগিয়ে আসছে।

এ জাতটি চাষাবাদের পদ্ধতি অন্যান্য রোপা আমন জাতের মতই। তবে এই ধানের আগাম ফলন হওয়ায় একই জমিতে শীতকালিন ফসল চাষ করা যায়। এতে কৃষকরা বেশি লাভবান হয়। আগাম চাষ ও কর্তনের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রোগ পোকামাকড় থেকে ফসল রাসহ এক জমিতে বছরে তিন থেকে চারটি ফসল উৎপাদন সম্ভব।

জুলাই মাসের ২য় সপ্তাহে বীজবপণ করে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ নাগাদ ধান ঘরে তোলা যায়। এ উচ্চ ফলনশীল জাত চাষ করে কৃষকরা হেক্টরে ৪.১৬ টন (চালে) পর্যন্ত ফলন পাচ্ছেন। আর ধান পাচ্ছেন হেক্টর প্রতি-৬.৬২ টন (২০% আদ্রতাসহ)।

মামুন/এইচ

Print Friendly

Related Posts