মওলানা ভাসানী জুলুম-নির্যাতন-শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ মওলানা ভাসানী শাসকগোষ্ঠীর জুলুম, নির্যাতন, শোষণ, আধিপত্যবাদ, বর্ণবৈষম্যবাদ, উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন বাংলাদেশ ভুমিহীন আন্দোলন।

উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভূমিহীন আন্দোলন এর সদস্য সচিব  শেখ নাসির উদ্দিন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভুমিহীন আন্দোলনের উপদেষ্টা ইকবাল আমেনী, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, বাংলাদেশ যুব শক্তির আহ্বায়ক হানিফ বাংলাদেশী, যুব শক্তির সদস্য সচিব মোঃ হাবিবুর রৃহমান, ভুমিহীন আন্দোলন এর মনোজ কুমার মন্ডল, শাহজাহান সিরাজ, রতন মোল্লাহ।

উক্ত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মওলানা ভাসানী শাসকগোষ্ঠীর জুলুম, নির্যাতন, শোষণ, আধিপত্যবাদ, বর্ণবৈষম্যবাদ, উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। গণমানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে মুক্তিকামী মানুষকে সংগঠিত ও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের তিনি আদর্শ প্রতীক। মাওলানা ভাসানী ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যছিল শোষণহীন সমাজ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা।

তাঁরা বলেন, মাওলানা ভাসানী সহ অন্যান্য নেতারা যে সব রাজনৈতিক দল গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে গঠন করেছিলেন-সেই সব দলের বর্তমান নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠাতাদের জন্ম-মৃত্যুবার্ষিকী পালনে অবহেলা, অনীহা করেন। ইতিহাস শিক্ষনীয় হয়-হস্তক্ষেপের বিষয় নয়। ইতিহাস বিকৃতি ও ইতিহাসে হস্তক্ষেপ খেয়ানতের সামিল। মাওলানা ভাসানী ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি আলোকোজ্জ্বল অধ্যায়। তিনি ছিলেন নেতাদের নেতা।

সভায় বক্তাগন বলেন, শুধু মাওলানা ভাসানীকে স্বরণ নয় তার আদর্শকে ধারণ করে দেশ গঠনের কাজে এগিয়ে যেতে হবে।

Print Friendly

Related Posts