কলাপাড়ায় নিজস্ব জমি রক্ষায় রাখাইন সম্প্রদায়ের সংবাদ সম্মেলন

এস.এম ইলিয়াস জাবেদ, কলাপাড়া: ভুমিদস্যুরা জমির মিথ্যে মালিকানা দাবী করছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের রাখাইন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে কলাপাড়া সাংবাদিক ফোরাম কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাখাইন সম্প্রদায়ের অংচোলা মাতবর বলেন, ১৫ নভেম্বর উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের বিভিন্ন দাগে জমির মালিকানা দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছে, মো.আবু সাঈদ হাওলাদার, মো.ইসমাইল খান সহ চার জন। এদের মধ্যে আবু সাঈদ’র চাচাতো ভাই একজন উপ-সচিব। এরা তার নাম ভাঙিয়ে রাখাইন সম্প্রদায়ের জমি জোর-জবরদস্তি করে দখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এদের ভয়ে রাখাইন পরিবারের লোকজন স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা পরিষদ সদস্য আসলাম হাওলাদার, মো: রুবেল সিকদার, মো: ফোরকান মৃধা, অংশে মাতুব্বর, হাচিং মং তাং, মংখেন চো, মং মং, মংচোম্যান, থম্রাউসহ বিভিন্ন রাখাইন পাড়া থেকে আসা ওই সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।

কলাপাড়া সাংবাদিক ফোরাম কার্যালয়ের সদস্য জসিম উদ্দিন মানিকের সভাপতিত্বে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

অংচোলা মাতুব্বর বলেন, বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংখ্যালঘু রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রাপ্য জমি জালিয়াত চক্রের হাত থেকে রক্ষার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তার বিরুদ্ধেও ১৫ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্যে করেছে ওই চক্রটির সদস্যরা।

অংচোলা বলেন, জে. এল নং ১৮, মৌজা- ছোট বালিয়াতলী, এস. এ খতিয়ান নং ১৯/১১৮ তথা বি. এস ৪৪ নং খতিয়ানের বিভিন্ন দাগে রেকর্ডীয় মালিক আইওয় মগনী ১ আনা অংশের মালিক। এস. এ ১৯৫ তথা বি. এস ১০৮৭ নং খতিয়ানের ১ আনা অংশের মালিক সিলাও মগ।

সোনাপাড়া মৌজায় ৯৫ নং খতিয়ানের ১ আনা অংশের মালিক সেলুমা মগনী গং। তেগাছিয়া মৌজায় ১৮২/১৭৭ তথা ৪৮৪/৪৮৫ নং জমাখারিজ খতিয়ানের ১ অংশের মালিক সাইমাচিং মগনী । উপরোক্ত খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিকদের ওয়ারিশগণ থাকিয়া আমরা বিছু জমি বিক্রি করেছি এবং বাকি জমিতে আমরা চাষাবাদ ক্রমে বাড়ি ঘর এবং আমাদের ধর্মীয় বৌদ্ধ মন্দিরসহ বাগান বাড়ি করে বসবাস করছি। মো: আবু সাঈদ হাওলাদারসহ চক্রটি ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে আমাদের নামে ২৪৯/২০১৯, ৪০৩/২০১৯. ২৭২/২০২০, ৩৮৮/২০২০, ৩২৭/২০১৮, ৫১/২০১৮ দেওয়ানী মামলা করে হয়রানী করে আসছে। উক্ত মামলা চলমান আছে।

অপরদিকে, কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এলাকার জনপ্রিয় ব্যক্তি দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুম রাখাইন সম্প্রদায়ের বিপদে-আপদে অনেক আগে থেকেই এগিয়ে এসেছেন, এখনো আসছেন। তার বাধার কারণে চক্রটি বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারছে না। তার নাম উল্লেখ করে চক্রটি মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে বলেও জানান অংচোলা মাতুব্বর।

তিনি এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Print Friendly

Related Posts