নদী খননে জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল: নদীর গতি ও ধারা বজায় রাখতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

তিনি বলেন, ‌টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সরকারি জমির ওপর দিয়ে যমুনা নদীতে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে খনন কাজ হচ্ছে। তারপরও জনগণের দাবি থাকতে পারে। যে জমিগুলো অধিগ্রহণ করা হবে, সে সব জমির মালিকদের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার অজুর্না এলাকায় যমুনা নদীর ড্রেজিং প্রকল্প কাজ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যমুনা নদীতে যেখানে ড্রেজিং হচ্ছে সেখানকার মানুষের যদি জমির কাগজপত্র ঠিক না থাকে তাহলে জেলা প্রশাসকের পক্ষে টাকা দেওয়া সম্ভব হবে না। যতই তারা দাবি করুক না কেন? যখন সরকার জমি অধিগ্রহণ করে তখনই মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অধিগ্রহণ করা জমির টাকা পরিশোধের বিলম্বের কারণ হয়তো তাদের জমির কাগজপত্র ঠিক থাকে না।

তিনি আরও বলেন, বিগত ১০ বছরে সরকার অর্থনৈতিকভাবে অনেক সাবলম্বী হয়েছে। সরকারের ক্ষমতা আছে বলেই বড় বড় প্রকল্প নিতে পারছি। আগে যারা সরকারে ছিল তাদের সময় কোনও কাজ হয়নি। নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধ করা হবে। এছাড়া খুব দ্রুতই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

তিনি ভূঞাপুর ছাড়াও জেলার কালিহাতী উপজেলার বেশ কয়েকটি ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম প্রমুখ।

 

Print Friendly

Related Posts