অনুপ চেটিয়া ভারতে

বিডি মেট্রোনিউজ ।। ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফোরাম অব আসাম-এর  (উলফা) সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়াকে ভারত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বুধবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।
এর আগে ভারতের বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) খবরে একই তথ্য জানানো হয়। ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওই খবরে বলা হয়, বুধবার ভোরে তাকে হস্তান্তর করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, অনুপ চেটিয়ার সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাকে ভারত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি জানান, অনুপ চেটিয়া ভারতে যাবার জন্য আবেদন করেছিলেন। সাজা শেষ হওয়ায় বুধবার কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে তাকে হস্তান্তর করা হয়।

১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে চেটিয়াকে গ্রেফতর করে পুলিশ। এরপর অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান এবং বিদেশি মুদ্রা ও পাসপোর্ট রাখার দায়ে তাকে সাত বছর শাস্তি দেন আদালত। শাস্তি ভোগের মেয়াদ শেষ হলেও আদালত তার রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদনের বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত কারাগারে রাখার নির্দেশ দেন। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের স্বাধীনতার লক্ষ্যে ১৯৭৯ সালে গঠিত হয় উলফা। এরপর দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সশস্ত্র তৎপরতা চালায় সংগঠনটি।

অনুপ চেটিয়ার ইচ্ছাতেই ভারতে হস্তান্তর: আইজি প্রিজন

ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফোরাম অব আসাম-এর (উলফা) সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়ার ইচ্ছাতেই তাকে ভারত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজ প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। বুধবার বিকেলে পুরান ঢাকায় আইজি প্রিজন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

আইজি প্রিজন বলেন, বুধবার ভোরে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারগার থেকে অনুপ চেটিয়া ও তার দুই সযোগীকে ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তিনি জানান, চেটিয়ার সাজার মেয়াদ আগেই শেষ হয়েছিল। তার সাজা ছিল ৭ বছর। তিনি ২০০৪ সাল পর্যন্ত সাজা ভোগ করেন। কিন্তু এরপরও সিদ্ধান্ত নাওয়ায় এবং নিরাপত্তার কারণে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।

কারা মহাপরিদর্শক বলেন, অনুপ চেটিয়া দুইবার দেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। ভারত যখন এই বিষয়ে রাজি হয়েছে তখন তাকে হস্তান্তর করা হয়। তার ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে হস্তান্তর করা হয়। অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে আরও দুইজনকে ভারত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয় তারা হলেন- লক্ষী প্রসাদ, বাবুল শর্মা। তারাও বিভিন্ন মামলায় কারাবন্দি ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts