মেট্রো নিউজ ।। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় তাদের মেয়ে ঐশী রহমানের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার আরেক আসামি ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও একমাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। ঐশীর আরেক বন্ধু আসাদুজ্জামান জনিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। এসময় ঐশী ও জনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে তাদেরকে আদালতের এজলাসে নিয়ে আসা হয়।
উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ৪ নভেম্বর (বুধবার) রায়ের দিন ঠিক করেছিলেন বিচারক সাঈদ আহমেদ। মামলায় ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদী ঐশীর চাচা মশিহুর রহমান রুবেলসহ ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগের নিজ বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর পলাতক থাকা তাদের মেয়ে ঐশী রহমান রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে গ্রেফতার করা হয় এ মামলার অপর দুই আসামি রনি ও জনিকে।
গত বছরের ৯ মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আবুল খায়ের মাতুব্বর ঢাকার আদালতে ঐশীসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে দুটি অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। বাবা-মাকে ঐশীই হত্যা করে বলে পুলিশের অভিযোগপত্রে বলা হয়। একই বছরের ৬ মে ঐশীসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন মহানগর দায়রা জজ আদালত।
গ্রেফতারের পর ঐশী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও পরে তা অস্বীকার করেন। তিনি তখন বলেন, ‘ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছিল।’
এদিকে, এ মামলায় ঐশীদের বাসার শিশু গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচার চলছে শিশু আদালতে। গত বছরের ২০ মে সুমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে তাকে জামিন দেন শিশু আদালতের বিচারক জাকিয়া পারভিন। গত বছরের ১ জুন গাজীপুরের কিশোর সংশোধন কেন্দ্র থেকে মা সালমা বেগমের জিম্মায় জামিনে মুক্তি পেয়েছে সে।