বিডি মেট্রোনিউজ ।। এ যেন ভাবাই যায়না, ব্যাট হাতে নিলেন- তারপর জ্বলে উঠলেন মাশরাফি বিন মুতর্জা। মারলন স্যামুয়েলস খেললেন দায়িত্বশীল এক ইনিংস। চিটাগং ভাইকিংসকে দ্বিতীয় পরাজয়ের স্বাদ দিয়ে প্রথম জয় পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
মোহাম্মদ আমিরকে গ্লাইড করে চার মেরে দলকে জিতিয়ে মাশরাফি মাতলেন বিশ্বজয়ের উল্লাসে। ব্যাট ছুঁড়ে ফেলে খ্যাপাটে এক দৌড়ে ছুটে গেলেন ড্রেসিং রুমের দিকে। মাঠের বাইরে থেকে ছুটে এসে সতীর্থরা অধিনায়ককে তুলে ধরলেন আকাশে!
মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৭৬ রান করে চিটাগং। জবাবে ৭ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।
রান তাড়ায় আরেক দফা ব্যর্থ হয় কুমিল্লার দুই ওপেনার। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই আউট ইমরুল কায়েস, লিটন ফিরেছেন ৯ রান করে। কুমিল্লার ইনিংসটা গতি পায় শুভাগত হোমের ছোটো কিন্তু কার্যকর এক ইনিংসে।
উইকেটে গিয়েই তাসকিন আহমেদের এক ওভারে তিনটি চার মারেন শুভাগত। শফিউল ইসলামের এক ওভারে মারেন দুটি ছক্কা। ১৬ বলে শুভাগতর ৩০ রানের ইনিংসটিই জয়ের বিশ্বাস দেয় কুমিল্লাকে।
৫২ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত ছিলেন স্যামুয়েলস। তবে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ বলে ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে ম্যাচসেরা মাশরাফি। ব্যাট হাতে তার ক্যারিয়ারের সেরা সময়কে মনে করিয়ে দিয়ে খেলেছেন দারুণ সব শট। সোজা ব্যাটে কিছু শট ছিল দেখার মত। ৭৯তম ম্যাচে এটি মাশরাফির প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটি!
এর আগে চিটাগং ভাইকিংসকে বড় রান এনে দিয়েছিল জিয়াউর রহমানের ঝড়ো এক ইনিংস। একটা সময় চিটাগংয়ের রান দেড়শ’ হওয়া নিয়েই ছিল খানিকটা শঙ্কা। জিয়ার ঝড়ে শেষ পর্যন্ত দলের রান গিয়েছে দেড়শ’ ছাড়িয়ে আরও অনেক দূর!
১৬ বলে অপরাজিত ছিলেন ৩৯ জিয়া। বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনির টানা চার বলেই তিন ছক্কা ও এক চারে নিয়েছেন ২২ রান! শেষ ওভারে ছক্কা মেরেছেন সুনিল নারাইনকেও।
বোলিংয়ে ২৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে কুমিল্লার সেরা বোলার জাইদি। একটি করে নিয়েছেন মাশরাফি ও নারাইন। তখনও ভাবা যায়নি, এই ম্যাচের ভাগ্য লিখবেন ব্যাটসম্যান মাশরাফি।