বিডি মেট্রোনিউজ ।। দেশ এখন নির্বাচনমুখী। দেশজুড়ে পৌরসভা নির্বাচনের হাওয়া বইছে। দেশের মোট ৩১৫টি পৌরসভার মধ্যে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২৩৬টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাকি পৌরসভাগুলোর মেয়াদ শেষ হয়নি। ফলে আপাতত ২৩৬টিতেই নির্বাচন হচ্ছে। গত ২৪ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন রাজনৈতিক দলগুলোর যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার পালা চলছে।
বর্তমান বাংলাদেশে জনসমর্থনের দিক দিয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হলো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। অন্যদিকে বর্তমান জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে। এ বড় তিনটি রাজনৈতিক দল পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেবে। জাতীয় নির্বাচনের মতো এবার পৌরসভা নির্বাচনেও দলগুলো কেন্দ্র থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেবে। কেন্দ্র থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তিনিই সেই দলীয় প্রার্থী বলে বিবেচিত হবেন এবং নির্বাচন করতে পারবেন। আর সে কারণেই সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের কাছে দলবলসহ প্রার্থীদের ছোটাছুটি চলছে।
আবার পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী কারা, তা ইসিকে জানাবেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান। তাকে এই ক্ষমতা দিয়ে শনিবার নির্বাচন কমিশনে খালেদা জিয়ার চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এবং বেশ কয়েকজন যুগ্ম মহাসচিব কারাগারে থাকার মধ্যে প্রার্থী প্রত্যয়নের ক্ষমতা পেলেন শাহজাহান।
অন্যদিকে পৌরসভা নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নের ক্ষমতা নিজের হাতেই রাখলেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।নির্বাচন কমিশনে শনিবার দুপুরে সাবেক রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দলের যুগ্ম মহাসচিব নুরুল ইসলাম নুরু জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে পার্টির চেয়ারম্যানের মনোনয়নের নমুনা স্বাক্ষর কমিশনে জমা দেন। ফলে পৌরসভা নির্বাচনে জাতীয় পার্টির আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়ন পেতে হলে এরশাদের সম্মতি লাগবে। আগামী কাল রোববার সকাল থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় পার্টির বাছাই প্রক্রিয়া। রাজধানীর বনানী অফিসে পার্টির চেয়ারম্যান নিজেই সম্ভাব্য পৌর প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেবেন।
সঙ্গতকারণে, সারাদেশের প্রার্থীরা এখন নিজ নিজ দলের হাইকমান্ডে দলবল নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকার কারণে পুরো দেশই এখন নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে।