বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ আজ কবি শিউল মনজরের জন্মদিন। দেশে বিদেশে মূলত কবি হিসেবেই পরিচিত হলেও গল্প ছড়া প্রবন্ধ লিখেন। ভ্রমণ সাহিত্যও রচনায়ও রয়েছে তার দক্ষতা। জীবন জীবিকার পাশাপাশি লেখালেখির মধ্যেই কাটে তার সময়।
জন্ম : ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৫, সুরমানগরী সিলেটে। তবে তার শৈশব-কৈশোরের সোনালি দিনগুলি কেটেছে শহরের অদূরে ফেঞ্চুগঞ্জের নদী বিল সারকারখানা আর চা সবুজের নিরিবিলি পরিবেশে। লেখাপড়ার সুবাদে এই কবি যৌবনের সন্ধিক্ষণ পার করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহারের মায়াবি ক্যাম্পাসে।
শিক্ষায় এমকম। সাংবাদিকতা দিয়ে পেশাগত জীবনের যাত্রা শুরু। পরে কলেজ শিক্ষকতা। বর্তমানে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক প্রয়োজনে দেশের বাইরে অবস্থান করলেও লেখালেখি ও পড়াশোনার সাথেই নিবিড়ভাবে যুক্ত।
এই বইমেলায় বের হলো তার দশতম কবিতার বই- মমতার পৃথিবী ও জোনাকিরা। বইটিতে স্থান পেয়েছে চল্লিশটি কবিতা। এই কবিতাগুলোর মধ্যদিয়ে দেশ প্রেম, দায়বদ্ধতা, মানবিকতা, বৈচিত্র্যময় বিষয় ও নান্দনিক চিত্রময় বর্ণনার মধ্যদিয়ে কবিতা নির্মাণে পাঠকরা কবি শিউল মনজুরকে নতুন করে আবিস্কার করবেন বোধ করি।
তার অন্যান্য কবিতার বইগুলো হচ্ছে- তিনফর্মা দীর্ঘশ্বাস, আমার প্রার্থনা, দূরের চিত্র কাছের চিত্র, সুরমা গাঙের বাসন্তি নাও, শোনো বীথি কানে কানে বলি, শাদা পাতা শাদা চোখ, পাতা শিশিরের অভিধান, সবুজ পাতার জংশনে এবং পাখিতীর্থের আন্তঃনগর। এ ছাড়া তোমার জন্যে মাধবী এবং কবি ও প্রেমিকা নামের দুটি গল্পের বই রয়েছে। একমাত্র উপন্যাসের নাম প্রণয়ের মৌমাছি। এছাড়া খেলাধুলা হইচই বেশি করো পড়ো বই এবং ফুলবালিকার রঙিন ছাতা নামের দুটি ছড়ার বই রয়েছে।
সব মিলিয়ে তার মোট গ্রন্থসংখ্যা : ১৫টি। শিউল মনজুর তরুণ বয়সে তৃণলতা ও তুমি নামের দুটি সাহিত্যের ছোট কাগজও সম্পাদনা করেছেন।
আমরা এই কবির সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।