বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ মাহমুদুলের সেঞ্চুরিতে ইতিহাস, ফাইনালে বাংলাদেশ। ‘প্রথম’ বিশ্বকাপ জয়ের এককদম দূরে যুবারা। আইসিসি অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। আইসিসি আয়োজিত কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ এই প্রথমই নাম লিখিয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছিল যুবা টাইগাররা।
আকবর আলীদের সামনে স্বপ্নপূরণের মাত্র আরেকটি ধাপ বাকি, ফাইনালে প্রতিপক্ষ ভারতকে হারাতে পারলেই বিশ্বজয় করে দেশে ফিরবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
দক্ষিণ আফ্রিকায় পচেফস্ট্রুমের সেনবিজ পার্কে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় খেলাটি শুরু হয়। বাঁচা-মরার এই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী। আগে ব্যাটিং করে যুবাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২১১ রানের বেশি করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। টার্গেটে খেলতে নেমে মাহমুদুল হাসান জয়ের নায়োকিচিত সেঞ্চুরিতে ৩৫ বল হাতে রেখে ছয় উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
টার্গেটে খেলতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি যুবাদের। দলীয় ২৩ রানে ওপেনার তানজীদ হাসান ফিরে যান মাত্র ৩ রান করে। আরেক ওপেনার পারভেজ হোসাইন ইমনের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১৪ রান। এরপর দলের হাল ধরেন জয় ও তাওহীদ হৃদয়। হৃদয় ৪০ রানে রানআউটের শিকার হয়ে ফিরে গেলেও জয় ফেরেন সেঞ্চুরি করেই। তার ব্যাট থেকে আসে ১২৭ বলে ১০০ রান। তার ইনিংসটি সাজানো ছিলো ১৩টি চারের মারে।
সেঞ্চুরির পরের বলেই জয় আউট হয়ে ফিরে গেলেও জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি বাংলাদেশের। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন শাহাদাত হোসেন (৪০) ও শামীম হোসাইন (৫) ।
ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে কিউই যুবাদের চেপে ধরেন আকবর আলীরা। ইনিংসের পাঁচ রানের মাথায় ওপেনার মারিউকে সাজঘরে পাঠান শামীম হোসেন। ৭৪ রানের মধ্যে চার উইকেট ফেলে দিয়ে কিউইদের বড় সংগ্রহের দিকে যেতে দেননি রাকিবুল-শামীমরা।
পরে দলের হাল ধরেন বেকহাম হুইলার। তার ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৭৫ রান। এ ছাড়া ৪৪ রান করেন লিডস্টোন। টাইগার যুবাদের হয়ে সর্বোচ্চ ন্তিন উইকেট নেন শরীফুল ইসলাম। দুটি করে উইকেট নেন শামীম হোসেন ও হাসান মুরাদ।
বাংলাদেশে একাদশ : তানজিদ হাসান, পারভেজ হোশেন, মাহমুদুল হাসান, তৌহিদ হৃদয়, শাহাদাত হোসেন, আকবর আলি (অধিনায়ক ও উইকেট রক্ষক), শামিম হোসেন, তানজিম হাসান, রাকিবুল হাসান, হাসান মুরাদ ও শরিফুল ইসলাম।