ধামরাইয়ে সওজ এর জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ!

মোঃ রাসেল হোসেন ধামরাই : এ যেন বাতির নিচে অন্ধকার! ঢাকার ধামরাইয়ে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের এক তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর উপর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের ওই কর্মকর্তার বহুতল ভবনটি সড়ক সংস্কারের সময় যেন ভাঙ্গা না পড়ে যে জন্যেও নানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ওই কর্মকর্তা।

বিষয়টি নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। তবে মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তারা তাদের জমি দখল মুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

প্রায় ৪৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যায়ে মানিকগঞ্জের গোলড়া থেকে মানিকগঞ্জ ও ঢাকার ধামরাই উপজেলার আওতাধীন সাটুরিয়া বাজার পর্যন্ত ১২ কিঃমিঃ সড়ক প্রশস্তের কাজ শুরু করে মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগ। সড়কটি প্রশস্তের কাজ দেয়া হয় তুন্না এন্টারপ্রাইজ এন্ড খুরশেদজ্জামান নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকাজন এই মুহুর্তে সড়কটির সাটুরিয়া বাজার এলাকায় সড়ক প্রশস্তের কাজ করছেন। সড়ক সংস্কার ও প্রশস্ত করণের কাজ চলা অংশ সাটুরিয়া বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন সড়কটির পশ্চিম পাশ দিয়ে সড়ক প্রশস্ত করতে কাজ করছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটির অন্যান্য অংশে সড়কের পূর্ব ও পশ্চিম পাশ দিয়ে (উভয় পাশ দিয়ে) প্রশস্ত করণের কাজ করা হলেও সাটুরিয়া বাজার এলাকায় শুধু মাত্র পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রশস্ত করা হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, সড়কটির  পূর্ব পাশে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ জিকরুল হাসানের মালিকানাধীন একটি ৩ তলা বহুতল ভবন রয়েছে। সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তা হওয়ায় ওই ভবনটি ভাঙ্গনের হাত থেকে বাচাতেই সাটুরিয়া বাজার এলাকায় শুধু পশ্চিম পাশ দিয়ে সড়ক প্রশস্ত করণের কাজ করা হচ্ছে। এতে করে সড়কটির পম্চিম পাশে থাকা সেমিপাকা মার্কেটসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও ভাঙ্গা পড়বে বলে দাবি স্থানীয়দের।

এদিকে, সড়ক সংস্কার ও প্রশস্ত করণ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগের এই উপ-সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেনের  দাবি সড়কটি প্রশস্ত করণের জন্য পশ্চিম পাশ দিয়ে পর্যাপ্ত জায়গা থাকায় পশ্চিম পাশ দিয়েই প্রশস্ত করণের কাজ চালানো হচ্ছে। তবে সড়ক সংস্কার ও প্রশস্ত করণের সাটুরিয়া বাজার অংশে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের জমির সিমানা নির্ধারণ না করেই কাজ চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এই বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের দখলকৃত জমি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিষয়ে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের তত্বাবধায়ক মোঃ জিকরুল হাসানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান আমি ওখানে বসবাস করি না। আর আমার তিন তলা বাড়িটি সড়ক ও জনপদের জমিতে পরে নাই। তবে যদি আমার বাড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গায় পরে থাকে তাহলে আমি সেচ্ছায় ভেঙ্গে দিব।

এই ঘটনায় স্থানীয়রা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। স্থানীয়দের প্রত্যাশা সাটুরিয়া বাজার এলাকায় সড়কটির অন্যান্য অংশের মতোই উভয় পাশ দিয়ে সংস্কার ও প্রশস্ত করণের কাজ চালানো হবে।

Print Friendly

Related Posts