চির নিদ্রায় শায়িত মির্জাপুরের মেয়র সুমন

আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: সবাইকে চলে যেতে হবে এটাই নিয়ম কিন্তু মেয়র সুমনের এই চলে যাওয়া কেন যেন মেনে নিতে পারছিলেন না কেউই। তাই মঙ্গলবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন সুমনের চলে যাওয়ার সংবাদে স্থবির হয়ে পড়ে মির্জাপুরের রাজনৈতিক অঙ্গন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাদ যোহর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির মূল দলের সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ উপজেলার হাজার হাজার জনতার অংশগ্রহণে জানাযার পর পারিবারিক কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন তারুণ্য প্রেমী বঙ্গবন্ধুর এক  আদর্শ সৈনিক মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী রাজনীতির এই উজ্জল নক্ষত্রের। সে সময় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, মির্জাপুর পৌর সভার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানাযায় অংশ নেয়।

প্রসঙ্গত, ৫২ বছর বয়সে চির বিদায় নেয়া মির্জাপুর আওয়ামী রাজনীতির এই কারিগর রাজনৈতিক অঙ্গনে পা রাখেন ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে। ১৯৯৪ সালে বর্তমান মির্জাপুর সরকারি কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। যুক্ত ছিলেন সাংবাদিকতার সাথেও। এক সময় দৈনিক মানব জমিনের উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। ২০০০ সালে তিনি মির্জাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে ২০০৫ সালে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে পৌর মেয়র পদে নির্বাচন করে প্রথম বার ব্যর্থ হলেও ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে জয় লাভ করেন তিনি। দায়িত্ব পাওয়ার পর তাঁর দক্ষতায় “খ” শ্রেণী থেকে মির্জাপুর পৌর সভা উন্নীত হয় “ক” শ্রেণীতে। সুন্দর মির্জাপুর গড়ার স্বপ্ন ছিলো তাঁর।

শাহাদৎ হোসেন সুমন পৌর সদরের পোষ্টকামুরী গ্রামের মৃত খোয়াজ উদ্দিনের ছেলে ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও টাঙ্গাইল-৭ আসনের সাংসদ মো. একাব্বর হোসেনের আপন চাচাত ভাই।

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts