মো. রাসেল হোসেন ধামরাই (ঢাকা) : ঢাকার ধামরাই উপজেলার শরীফবাগ এলাকায় বংশী নদীর উপর বেইলি ব্রিজে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সেতুতে ৪ টি ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে সেতুর দু’ পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে কোন সময়ে ব্রিজটি ভেঙে পড়ার ভয়ে ভারী যানবাহন, মালবাহী ট্রাক, পিক-আপ ভ্যানসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ফলে ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা-যাদবপুর- কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পরেছে। এতে এই অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারন করেছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে ব্রিজের দক্ষিণ পাশের অংশে ৪ থেকে ৫ টি পয়ন্টে ফাটল দেখা দেয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নে প্রায় ২৫ বছর ধরে প্রায় ৭৫ মিটার দৈর্ঘ্য এই বেইলি ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষ ও কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। পৌর শহরের আইঙ্গল এলাকায় নতুন একটি ব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু তার পাশ দিয়ে কোন বিকল্প রাস্তা না থাকায় সকল যানবাহন ও লোকজন এই বেইলি ব্রিজ দিয়েই চলাচল করে থাকে। অতিরিক্ত চাপ পড়ার কারণে ব্রিজটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে।যে কোন সময় চাপ একটু বেশি পড়লেই বড় ধরনের বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
এই ব্রিজের উপর দিয়ে ছোট যানবাহন ও সাধারণ জনগণ যাতায়াত করার কথা থাকলেও অনেক সময়ে ৪০ থেকে ৫০ টন ওজনের মালামাল নিয়ে সেতুর উপর দিয়ে ট্রাক চলাচল করে। হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তির কারণ এখন বেইলি ব্রিজটি। কোন রোগীর গাড়ি শহরের কোন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য জরুরি মূহুর্তে গাড়ি আসতে তাদের কয়েক কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে আসতে হবে। এতে আরেক দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রতিনিয়ত কয়েক হাজার যানবাহন এই ব্রিজের উপর দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে থাকে। যেখানে সবোচ্চ ৫ টনের বেশি ওজনের কোন গাড়ি চলতে পারবে না। আবার পাশেই একটি ব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে তার কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। তাই সকল চাপ এই সেতুর উপর পড়ে।যে কোন সময় সেতুটি ভেঙে পড়ার ভয় রয়েছে। এতে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াবে। কারণ রাতের বেলায় এই সেতু দিয়ে প্রায় ১ শত মাটির ট্রাক চলাচল করে থাকে। যা ব্রিজটির জন্য হুমকি স্বরুপ।এছাড়াও বিভিন্ন ইটের ভাটার ইট নিয়ে কয়েকশত ট্রাকও চলাচল করে। প্রশাসন পূর্ব থেকে উদ্দোগ নিলে এমন টা হতো নবলে দাবি এলাকাবাসীর।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের বিভাগীয় উপ- সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ব্রিজটি দেখতে গিয়েছিলাম। কয়েকটি ফাটল ব্রিজে দেখা গিয়েছে। বর্তমানে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামীকাল দুপুরের আগেই ব্রিজরটি মেরামত করা হবে। তবে পাশে আরেকটি সেতুর কাজ চলছে। এক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।তখন আর কোন সমস্যা থাকবে না।
উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহাব উুদ্দীন বলেন, আমি প্রতিবার মাসিক মিটিং এ এই ব্রিজের দূরাবস্থার কথা বলেছি । এতে কোন কাজ হয় নাই। আজ সওজের প্রকৌশলী এসে দেখে বলেছে একটি বিটের ফাটল মেরামত করে দিবো। দু’ মাস ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখেন।পাশের ব্রিজটির কাজ শেষ হলে আর কোন সমস্যা থাকবে না। তবে ৪ টি বিটের পাত ভেঙে গেছে। বর্তমানে আমি গ্রাম পুলিশ সদস্য দিয়ে সেতুর তদারকি করাইতেছি। যাতে ভারী যানবাহন চলাচল না করতে পারে।এতে হয়তবা সাধারণ মানুষ মারাত্মক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাবে।