নিজস্ব প্রতিবেদক: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবসের সঙ্গে যোগ হয়েছিল ছুটির দিন শুক্রবার- এ তিনে মিলে মেলায় সৃষ্টি হয়েছিল জনারণ্য।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মেলায় কত মানুষ এসেছে, এ প্রশ্নের উত্তর জানা নেই কারো। তবে চোখের হিসেবে বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত হিসেবটা কয়েক লাখ ছাড়িয়েছে।
সাড়ে আট লাখ বর্গফুটের বিশাল মেলায় ঠাঁই ছিল না সন্ধ্যার পর। একদিকে শাহবাগ মোড়, অন্যদিকে হাইকোর্ট চত্বর থেকে মানুষ আসছিল পিপীলিকার মতো সারি বেঁধে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে সবাইকে প্রবেশ করতে হয়েছে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে।
ফাগুন-ভালোবাসায় মানুষের ভিড়ে একাকার ছিল গ্রন্থমেলা। লাইন ধরে মেলায় প্রবেশ করেই প্রচণ্ড জনচাপের মধ্যে পড়তে হয় পাঠকদের। এ ভিড়ে প্রকাশকরাও ছিলেন। সাধারণত ভিড় হলে বিক্রি হয় না। তবে এবার ব্যতিক্রম হয়েছে।
মেলা প্রাঙ্গণে লেখকদের সঙ্গে পাঠকদের সরাসরি যোগাযোগ হয়। আর সেজন্যই এ ভিড় ঠেলেও মেলায় প্রবেশ করেছিলেন জনপ্রিয় লেখকরা। দীর্ঘক্ষণ প্যাভিলিয়ন-স্টলে বসে ভক্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন, অটোগ্রাফ দিয়েছেন। সেলফির আবদারও মিটিয়েছেন।
অনন্যার প্যাভিলিয়নে দাঁড়িয়ে অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। তিনি বলেন, তিনটি উৎসব একসঙ্গে যোগ হয়ে যাওয়ায় ভিড়টা অনেক। সাধারণত মেলায় এত জনসমাগম হলে বিক্রি কম হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে আজকের বিক্রি ভালো। তবে, সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য এই যে ছেলে-মেয়েরা হলুদ-লাল পোশাক পড়ে এসেছেন। মেয়েরা খোঁপায় ফুল দিয়েছে। অপূর্ব সুন্দর লাগছে।