মো. রাসেল হোসেন, ধামরাই : ঢাকার ধামরাইয়ের পাবলিক লাইব্রেরিটি দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকায় বই পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সব বয়সী বই প্রেমীরা।
স্থানীয়রা বলছেন, লাইব্রেরিটি বন্ধ থাকায় অবসর সময়ের মনের খোরাক বই পড়া থেকে বঞ্চিত হয়ে বর্তমান প্রজন্মের অনেক ছেলে-মেয়েই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দিকে ঝুকে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ মাদকাসক্তও হয়ে পড়ছে। তাই দ্রুত লাইব্রেরিটি খুলে দেবার দাবি স্থানীয়দের।
ধামরাই উপজেলা চত্বরে ১৯৯৬ সালে বইপ্রেমী মানুষদের মনের খোরাক জোগাতে নির্মাণ করা হয় ধামরাই পাবলিক লাইব্রেরিটি। লাইব্রেরিটি নির্মাণের পর শুরুর দিকে কয়েক বছর নানা বয়সী বই প্রেমীদের পদচারনায় মুখরিত থাকলেও কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় সেই পদচারনা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। সব শেষ গেল দেড় বছর ধরে একেবারেই বন্ধ রয়েছে পাবলিক লাইব্রেরিটি। ফলে বই পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নানা বয়সী বই প্রেমীরা। বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা পাঠ্য বইয়ের বাহিরে বিভিন্ন বই পড়ে জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করার সুযোগ থেকে সবচেয়ে বেশী বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, লাইব্রেরিটি বন্ধ থাকায় বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা অবসর সময়ে সময় কাটানোর জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। এছাড়া আবার অনেকে মাদকাসক্তও হয়ে পড়ছে। এছাড়া দীর্ঘ দিন ধরে লাইব্রেরিটি বন্ধ থাকায় প্রয়োজনীয় রক্ষনাবেক্ষণের অভাবে লাইব্রেরি ভবনের জানালার বিভিন্ন গ্লাস ভেঙ্গে গেছে এবং বই পড়ার টেবিল-চেয়ারগুলোতে পড়েছে ধূলা-বালির আস্তর। তাই দ্রুত ভবনটি সংস্কারসহ প্রয়োজনীয় রক্ষনাবেক্ষণের ব্যবস্থা নিয়ে বই প্রেমীদের জন্য লাইব্রেরীটি পুনরায় খুলে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহব্বান তাদের।
এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল হক জানান, দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার কারন এ লাইব্রেরির জন্য সরকারিভাবে কোন জনবল নিয়োগ নেই। তাই জনবলের অভাবে লাইব্রেরিটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বর্তমানে লাইব্রেরীটি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেস হোসেন জানান, লাইব্রেরিটি আবারও যেন বইপ্রেমীদের পদচারনায় মুখরিত হয়। সে জন্য দ্রুত লাইব্রেরিটি খুলে দেওয়া হবে।