রিপন শান: টানা তৃতীয়বারের মতো টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন নাট্যকার মাসুম রেজা। আর গতবারের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন নাট্যকার ও পরিচালক এজাজ মুন্না।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভার মধ্য দিয়ে গঠিত হলো ২০২০-২০২১ সালের টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের পুর্নাঙ্গ কমিটি। সভায় সাধারণ সদস্য নাট্যকারদের সর্বসম্মতিক্রমে ১৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন- সহ সভাপতি- বৃন্দাবন দাশ, পান্থ শাহরিয়ার ও চয়নিকা চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- শফিকুর রহমান শান্তনু, ইফফাত আরেফীন তন্বী ও আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক- স্বাধীন শাহ্, অর্থ সম্পাদক- আহ্সান আলমগীর, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক- নাজনীন হাসান চুমকী, তথ্যপ্রযুক্তি ও অনুষ্ঠান বিষয়ক সম্পাদক- জিনাত হাকিম, আইন ও সমাজকল্যান সম্পাদক- মহিউদ্দিন আহমেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক- রেজাউর রহমান রিজভী, দপ্তর সম্পাদক- আলী সুজন, কার্যকরী সদস্য- ড. মইনুল খান, মাসুম শাহরিয়ার, জাকির হোসেন উজ্জল ও মোস্তফা মনন।
এর আগে মাসুম রেজার সভাপতিত্বে এদিন বিকাল ৪টায় সাধারণ সভা শুরু হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের উপদেষ্টা সদস্য নাট্যজন ড. এনামুল হক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক হারুন রশীদ ও আনন্দ আলো সম্পাদক রেজানুর রহমান। এছাড়া মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের সাধারণ সম্পাদক এজাজ মুন্না, দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভার প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক শফিকুর রহমান শান্তনু ও সদস্য সচিব ইফফাত আরেফীন তন্বী।
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়। এরপর ছিল শোক প্রস্তাব, অতিথিদের বক্তব্য, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের প্রতিবেদন পাঠ এবং সদস্যদের মুক্ত আলোচনা। সন্ধ্যার পর নতুন কমিটির ঘোষণা দেয়া হয়। এসময় সদস্যরা করতালির মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে নতুন কমিটিকে স্বাগত জানান।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে প্রথম এবং ২০০১ সালে দ্বিতীয়বারের মত সম্মেলনের মাধ্যমে নাট্যকাররা একত্রিত হয়েছিলেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে ২০১৬ সালের ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে নব উদ্যমতায় পথচলা শুরু করে টেলিভিশন নাট্যকার সংঘ। এরপর সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১৩ এপ্রিল গঠিত হয় পরবর্তী কমিটি। এই কমিটি দুই বছরে নাটক রচনাশৈলী কোর্স, সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয় স্থাপন, মিডিয়ার চলমান সংকটে নাট্যকার সংঘের জোড়ালো ভূমিকা, স্ক্রিপ্ট ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনসহ বেশ কিছু সময় উপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করে। যা ব্যাপক প্রশংসিত হয়।