ভোলায় অচ্যুতানন্দ ব্রহ্মচারীর ২১তম তিরোধান উৎসব শুরু

রিপন শান: সনাতনধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোলার তজুমদ্দিনে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী শ্রী শ্রী অচ্যুতানন্দ ব্রহ্মচারীর তিরোধান উৎসব।

১৯ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে এ উৎসব শুরু হয়। প্রথম দিন থেকেই পুণ্যার্থীদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে মন্দির প্রাঙ্গণ। উৎসব শেষ হবে ২৩ ফেব্রুয়ারী ।

দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ এই উৎসবকে কেন্দ্র করে মন্দির প্রাঙ্গণকে নান্দনিক রূপে সাজানো হয়েছে। ছয়টি গেট নির্মাণের পাশাপাশি আলোকসজ্জায় সাজানো হয় মন্দির প্রাঙ্গণসহ পুরো চত্বর।

আয়োজকরা জানান, উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের আড়ালিয়া ‘সমাধি মন্দিরে’ তিরোধান উৎসব উপলক্ষ্যে ৪০ প্রহরব্যাপী মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান চলছে। বিভিন্ন জেলার ছয়টি কীর্তনীয়া দল এ যজ্ঞানুষ্ঠান পরিবেশন করছেন।

বিগত বছরের মতো এবছরও ভক্তদের জন্য দৃষ্টিনন্দন ‘বৃন্দাবন’ নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে সত্য, দাপর, কলি ও কেতা’ এ চার যুগের নিদর্শন শতাধিক বিগ্রহের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে ভক্তরা প্রার্থনা ও শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। এছাড়াও নির্মাণ করা হয়েছে মনোমুগ্ধকর কুণ্ডলী। পুণ্যার্থীদের জন্য ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ এ উৎসবকে ঘিরে এরই মধ্যে পুণ্যার্থীদের ঢল নামতে শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও কলকাতা থেকেও ভক্তরা আসছেন দলে দলে। এক হাজার ভক্তের আবাসিকভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও পুরো মন্দিরজুড়ে হাজার হাজার ভক্ত সার্বক্ষণিক অবস্থান করতে পারবেন।

ভক্তদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মন্দির চত্বরের চারপাশে তৈরি পোশাক, ফার্নিচার, কসমেটিকস, নিত্য পন্য এবং কুটির শিল্প ছাড়াও অসংখ্য খাবারের স্টল বসছে।

মন্দির পরিচালনা কমিটি সুত্র জানিয়েছে, অনিল বাবাজির ২১তম তিরোধান উৎসব শুরু হয়েছে। সারা দেশের মধ্যে অন্যতম একটি বৃহৎ উৎসব এখানে হচ্ছে।  প্রতি বছরের মতো এবছরও দেশ ও দেশের বাইরের লাখো ভক্তদের আগমন ঘটবে। ভক্তদের জন্য প্রতিদিন প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দির প্রাঙ্গণে নতুন করে আরও কিছু ভবন নির্মাণ ও প্রবেশ সড়কের রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করেন কমিটি।  এজন্য  সবার সহযোগিতাও চেয়েছেন তারা।

তজুমদ্দিন উপজেলার অন্তর্গত সম্ভপুর মন্দিরেও অচ্যুতানন্দ ব্রহ্মচারীর ২১তম তিরোধান উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে একযোগে। এ লক্ষ্যে বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়েছে সম্ভুপুর মন্দির।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts