বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ জি কে শামীমের জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। রোববার (৮ মার্চ) দুপুরে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন বাতিলের আদেশ দেন।
এর আগে, ৬ ফেব্রুয়ারি একই বেঞ্চ তাকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছিলেন। তবে এ বিষয়ে জানত না রাষ্ট্রপক্ষ। গতকাল জি কে শামীমের জামিনের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে রাষ্ট্রপক্ষ।
এদিকে, রোববার সকালে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে জি কে শামীমের জামিন পাওয়ার আদেশ রিকল করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খান তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে জি কে শামীমের জামিন বাতিলের আবেদন জানান। পরে আদালত অস্ত্র মামলায় জি কে শামীমের জামিন বাতিলের আদেশ দেন।
৪ ফেব্রুয়ারি মাদক মামলায় পাওয়া জি কে শামীমের জামিন আদেশটি রিকল করে বাতিল করেছেন হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ।
বিচারপতি মো. রেজাউল হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার (৮ মার্চ) এ বিষয়ে আদেশ দেন।
গত ২ জানুয়ারি অস্ত্র মামলায় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়।
গত বছরের ২৭ অক্টোবর জি কে শামীমসহ তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় র্যাব।
অস্ত্র মামলায় দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, জি কে শামীম একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়া ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তার দেহরক্ষীরা উচ্চ বেতনভোগী। তারা লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন করেছেন।
এর মাধ্যমে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল ও গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। শামীম অস্ত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদক ব্যবসা ও মানিলন্ডারিং করে আসছিলেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার হন শামীম। তার বিরুদ্ধে মাদক, অর্থপাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আরো তিনটি মামলা আছে।