২১ দিনের লকডাউনে পুরো ভারত

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ মঙ্গলবার ভারত জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন জারি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লকডাউন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটাও এক ধরনের কার্ফু। কেউ বাড়ি থেকে বেরতে পারবেন না। এভাবেই করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচানো সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘২১ দিন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে ২১ বছর পিছিয়ে যেতে হবে আপনাদের।’ মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে জারি হচ্ছে এই লকডাউন। মোদী বলেন, ‘হাত জোড় করে প্রার্থনা করছি। আপনি সেইসব লোকের জন্য ভাবুন, যারা নিজেদের কর্তব্যের জন্য প্রাণের মায়া ত্যাগ করে লড়াই করছেন।’

  প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ল দেশের সাধারণ মানুষ। কী খোলা থাকবে আর কোনটা বন্ধ থাকবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া তালিকা :
১. কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।

যেসব বিভাগ খোলা থাকবে সেগুলি হল: প্রতিরক্ষা, পুলিশ, ট্রেজারি, পেট্রোলিয়াম, বিপর্যয় মোকাবিলা, পোস্ট অফিস, ন্যাশানল ইনফরমেটিকস সেন্টার, আর্লি ওয়ার্নিং এজেন্সি।

২. রাজ্য সরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।

যেসব বিভাগ খোলা থাকবে সেগুলি হল: পুলিশ, হোম গার্ড, দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা, জেলা প্রশাসনের অফিস, বিদ্যুৎ পরিষেবা, জল সরবরাহ, পুরসভা (শুধু জল সরবরাহ ও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক কর্মীরা আসবেন।)

(যত সম্ভব কম সংখ্যাক কর্মীরা কাজ করবেন। বাকিরা বাড়ি থেকেই কাজ করবেন।)

৩. স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিষেবা:

খোলা থাকবে হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ডিসপেনসারি, ওষুধ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত অন্যান্য জিনিসপত্রের দোকান, ল্যাবরেটরি, ক্লিনিক, নার্সিং হোম, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা।

চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, প্যারা মেডিক্যাল স্টাফ, নার্সদের জন্য পরিবহন চালু থাকবে।

৪. বাণিজ্যিক ও বেসরকারি সংস্থা বন্ধ থাকবে।

যা খোলা থাকবে সেগুলি হল:
#রেশন দোকান, মুদিখানা। ফল, সবজি, দুধের দোকান। মাছ, মাংসের দোকান। (জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা করতে হবে যাতে খাবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়, বাজারে না আসতে হয়।)
#ব্যাংক, বীমা অফিস, এটিএম।
#প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া।
#টেলিকম সংস্থা, ইন্টারনেট পরিষেবা, কেবল পরিষেবা, আইটি (যতটা সম্ভব বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে।)
ইকমার্সের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে হবে খাবার, ওষুধ, চিকিৎসার জিনিসপত্র।
#পেট্রোল পাম্প, এলপিজি, কোল্ড স্টোরেজ, প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস।
৫. বন্ধ থাকবে কারখানা:
শুধমাত্র খোলা থাকবে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরির কারখানা।

৬. বন্ধ থাকবে সব ধরনের পরিবহণ:
শুধুমাত্র মালপত্র বহনের জন্য যানবাহন চলাচল করবে। দমকলের গাড়ি ও জরুরি পরিষেবার গাড়ি যাতায়াত করবে।

৭. বন্ধ থাকবে হোটেল:

খোলা থাকবে শুধুমাত্র সেইসব হোটেল, যেগুলিতে পর্যটকেরা এই মুহূর্তে আটকে পড়েছেন। কোয়ারেনটাইনের জন্য যদি কোনও হোটেল বরাদ্দ করা থাকে, সেটা খোলা থাকবে।

৮. সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ট্রেনিং বা রিসার্চ ইনস্টিটিউট, কোচিং সেন্টা বন্ধ থাকবে।

৯. সমস্ত প্রার্থনার জায়গা বন্ধ থাকবে।

১০. সামাজিক অনুষ্ঠান, খেলাধূলা, বিনোদন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ যে কোনও ধরনের জমায়েত বন্ধ থাকবে।

১১. কোনও মৃতদেহের সৎকারের ক্ষেত্রে ২০ জনের বেশি থাকবেন না।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts