ডিলারের বিরুদ্ধে ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ
জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ: তিন বছর যাবৎ ও.এম.এস কার্ডের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি চাল পাচ্ছেন না ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বরুনা গ্রামের তালিকায় নাম থাকা অনেকেই। ও.এম.এস এর কার্ডের তালিকায় ওই এলাকার হতদরিদ্র ব্যক্তিদের নাম থাকলেও চাল পাচ্ছেন না তারা।
লিখিত অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওএমএস এর ডিলার অরুণ কুমার বালো হতদরিদ্রদের বরাদ্দকৃত ওএমএস এর চাল না দিয়ে নিজেই উত্তোলন করে অন্যত্র বিক্রি করছে। তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নামের স্বাক্ষর জাল ও টিপসই দিয়ে ডিলার এই কাজ করে আসছেন প্রায় তিন বছর যাবৎ।
ওই ইউনিয়নের বরুনা গ্রামের হতদরিদ্র সুজলা, প্রতিমা, জহির, হযরত আলীসহ স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সাথে কথা বলে জানা গেছে, কয়েকদিন আগেই তারা জানতে পারেন তাদের নামে সরকারি ১০ টাকা কেজি চাল (ওএমএস) এর কার্ড আছে। কিন্তু তারা বিগত তিন বছর ধরে এই ওএমএস এর চাল ওই ডিলারের নিকট থেকে নেয়নি। তাহলে তাদের নামে বরাদ্দকৃত চাল গেলো কোথায়? এমন প্রশ্ন তাদের মনে।
ভুক্তোভোগীরা আরো বলেন, তাদের নামের বরাদ্দকৃত চাল ডিলার তুলে বাইরে বিক্রি করেছে বলেও শুনেছি। এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নামের সাথেও মিল নেই। ব্যবহার করা হয়েছে সংক্ষিপ্ত নাম। ডিলারের কঠিন শাস্তির দাবি জানান ভুক্তোভোগীসহ এলাকাবাসী।
পরে ভুক্তভোগীরা ১৭ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। আর অনুলিপি দেওয়া হয় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং উপ-পরিচালক খাদ্য অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ সদর বরাবর।
এ বিষয়ে জানতে ডিলার অরুণ কুমার বালোর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইকবাল হোসেন জানান, ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের বরুনা এলাকার ভুক্তভোগীরা একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।