বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ তিন ধরনের ক্রিকেটেই আন্তর্জাতিক আসরে গড় পঞ্চাশের উপরে বিরাট কোহলির। তাঁর শরীরে রয়েছে ১১টি ট্যাটু, যার প্রতিটার রয়েছে আলাদা অর্থ। বিরাট কোহলির শরীরের ১১টি ট্যাটুর মানে জেনে নিন-
‘গডস আই’ নামে ট্যাটু রয়েছে বিরাটের। যার মানে হল, যা-ই ঘটুক না কেন, কেউ না কেউ নজর রাখছে তাঁর উপর। অর্থাৎ, উপরওয়ালা সব সময় নজর রাখছেন বিরাটের উপরে।
‘মাদার্স নেম’ বা মা সরোজের নামেও ট্যাটু রয়েছে বিরাটের। যাতে পরিষ্কার, বাইরে থেকে তিনি যতই ডাকাবুকো হন না কেন, পারিবারিক মূল্যবোধ যথেষ্টই রয়েছে তাঁর।
বাবার নামেও রয়েছে ট্যাটু। কোহলির বাবার নাম প্রেম, যিনি প্রয়াত হন ২০০৬ সালে। কোহলি তখন রঞ্জি ম্যাচ খেলছিলেন। বাবার মৃত্যু ছিল তাঁর কাছে জোরদার ধাক্কা।
‘লর্ড শিবা’ নামে এক ট্যাটু রয়েছে কোহলির। শিব মানে এখানে প্রলয় বা ধ্বংসের প্রতীক। নিজের মধ্যে কিছু জিনিসকে কোহলি দমিয়ে রাখতে চান। তাই এই ট্যাটু, জানিয়েছিলেন তিনি।
কোহালির বাঁ হাতে ‘দ্য মনাস্ট্রি’ নামে ট্যাটু রয়েছে শিবের ট্যাটুর পাশেই। এটি ২২ গজে মানসিক শান্তি দেয় তাঁকে। ব্যাট হাতে সাধনার প্রতীক এটা।
২০১১ সালের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টনে টেস্টে অভিষেক ঘটেছিল কোহালির। তিনি হলেন টেস্টে ভারতের ২৬৯তম ক্রিকেটার। সেই সংখ্যাই লেখা রয়েছে এই ট্যাটুতে। যাকে বলা যায় ‘টেস্ট ক্যাপ নম্বর’ ট্যাটু।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০০৮ সালে পা রেখেছিলেন কোহালি। ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ঘটেছিল অভিষেক। তিনি হলেন এই ফরম্যাটে ১৭৫তম ভারতীয় ক্রিকেটার। সেই নম্বরই লেখা রয়েছে ‘ওডিআই ক্যাপ নম্বর’ নামের ট্যাটুতে।
‘ট্রাইবাল আর্ট’ নামের ট্যাটু বিরাটের প্রথম দিকের ট্যাটু। এটা আগ্রাসনের প্রতীক।
বিরাটের রাশি হল কর্কট। ডান হাতে ‘জোডিয়াক সাইন’ নামের এই ট্যাটুতে ‘স্করপিও’ লেখা রয়েছে।
জাপানে একসময় সামুরাইদের খুব কদর ছিল। সামুরাইদের চরিত্রের সঙ্গে ন্যায়পরায়ণতা, সাহসিকতা, সততা, বিশ্বস্ততা রয়েছে বলে মনে করেন কোহলি। সেই কারণেই ‘জাপানিজ সামুরাই’ নামে ট্যাটু করিয়েছেন তিনি।
বিশ্ব জুড়ে ‘ওম’ শব্দকে মানা হয় ঐশ্বরিক শক্তির অঙ্গ হিসেবে। কোহালিকে এই ট্যাটু মনে করায় যে, এই বিশাল পৃথিবীতে মানুষ কত ক্ষুদ্র। আত্মতুষ্টি যাতে গ্রাস না করে, অহঙ্কার যাতে না আসে। সেই কারণেই এই ট্যাটু করিয়েছেন ভারত অধিনায়ক।
সূত্র: আনন্দবাজারপত্রিকা