এস.এম ইলিয়াস জাবেদ, কলাপাড়া প্রতিনিধি: কলাপাড়ায় স্বামী বুদ্ধি প্রতিবন্দি আজিজ রাড়ী (৫৫) কে নিয়ে সুদীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ওয়াপদার ঢালে বসবাস করে আসছেন রাশিদা (৫০)। মাথা গোঁজার সম্বল তাদের ওইটুকুই। বিকল্প কোন জমাজমি বা বাড়ি ঘর কিছুই নেই। তবুও বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদ করার জন্য প্রভাবশালীরা উঠে পরে লেগেছে।
প্রতিনিয়ত দেয়া হচ্ছে হুমকী। বসানো হচ্ছে শালিশ বৈঠক। তাতেও যখন কাজ হচ্ছে না তখন পুলিশ দিয়ে হয়রানী করে ভিটে ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী রাশিদা বেগম স্বাক্ষরিত কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কলাপাড়া উপজেলার ৬ নং মহিপুর ইউনিয়নের পুরান মহিপুর গ্রামের একজন হত দরিদ্র নারী রাশিদা বেগম। পুরান মহিপুর সরকারি ওয়াপদার ঢালে ছোট্ট একটি ঝুপড়িঘর তৈরী করে সুদীর্ঘ ৩০ বছর ধরে প্রতিবন্দি স্বামী, পুত্র সন্তানাদি নিয়া বসবাস করে আসছে। এই সামান্য ঝুপড়ি ঘরটি ছাড়া তাদের অন্য কোন ঘরবাড়ি বা জায়গা জমি নেই।
একই গ্রামের মৃত জালাল মুন্সীর পুত্র শাহজাহান মুন্সী ও তার অপর দুই ভাই ছিদ্দিক মুন্সী ও মাছুম মুন্সী বসত ভিটা খেকে তাদেরকে স্বপরিবারে উচ্ছেদ করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে অভিযোগ রাশিদার পরিবারের।
মুন্সীরা তিন ভাই মিলে রাশিদার বসত ঘর সংলগ্ন ওয়াপদার প্রায় ৫/৬ একর সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে মাছের ঘের বানিয়ে ও চাষাবাদ করে ভোগ দখল করে আসছে। তারা রাশিদার পরিবারকে উচ্ছেদের উদ্দেশে প্রায়ই দলবল নিয়ে এসে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।
রাশিদা বলেন, তারা আমার ঘর দরজা ভেঙ্গে অন্যত্র যাওয়ার জন্য জোর হুমকী প্রদান করে আসছে। তারা থানায় আমাদের বিরুদ্ধে নালিশ করে আমাকে পুলিশ দ্বারা হয়রানী করাসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। সর্বশেষ বিগত ২৪-০৬-২০২০ ইং বুধবার সকালে শাহজাহান ও মাছুম মুন্সী এক সপ্তাহের মধ্যে ঘর দরজা ভেঙ্গে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য বলে। অন্যথায় হাত পা ভেঙ্গে পঙ্গু করে দিবে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে সর্বশান্ত করবে বলে হুমকী দেয়।
রাশিদা বেগম জানান, প্রভাবশালী ওই ব্যক্তিদের ভয়ে আমরা সর্বদা ভীত সন্ত্রস্থ আছি। তারা যে কোন সময় আমাকে অথবা আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের খুন জখম করতে পারে এবং আমার ঘর বাড়ি জ্বালাইয়া দিতে পারে।
অভিযুক্ত শাহজাহান মুন্সীর বক্তব্য জানার জন্য মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।