জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ: পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য ছোট বড় মিলে মোট ১৬ টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামতে রয়েছে দুইটি বড় ও একটি ছোট ফেরি। এতে করে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মকভাবে।
ফেরিঘাট এলাকায় আগত যাত্রী ও যানবাহন শ্রমিকদেরকে পোহাতে হচ্ছে দীর্ঘ ভোগান্তি। দেড় থেকে দুই ঘন্টার অপেক্ষায় বাস পারাপার হলেও ট্রাক চালকদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা। তবে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি এবং জরুরী পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে বলে দাবি ঘাট কর্তৃপক্ষের।
শুক্রবার দুপুরে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের মেরামত কারখানায় দেখা মিলে বড় ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এবং আমানত শাহ ফেরির। এছাড়াও যান্ত্রীক ত্রুটি নিয়ে মেরামত কারখানায় রয়েছে ছোট ফেরি সন্ধ্যা মালতি। আর নৌরুট পারাপারের জন্য বাস ও ট্রাক মিলে ঘাট এলাকায় অপেক্ষামাণ রয়েছে ৫ শতাধিক যানবাহন।
নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে স্রোতের বিপরীতে ফেরি চলাচলে সময় লাগছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট বেশি। ঘাট এলাকায় আবার বাড়তি যানবাহনের চাপ। এরই মধ্যে মেরামতে রয়েছে তিনটি ফেরি। সব মিলিয়ে ঘাটে আগত যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে হিমশিমে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে আবার সচল রয়েছে ভিআইপি পারাপার। এতে করে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের।
মাগুরামুখী পণ্যবোঝাই ট্রাকের চালক আলম মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাটুরিয়া ঘাটের টার্মিনালে এসে নৌরুট পারের টিকিট নেন। তবে শুক্রবার দুপুর ২ টা পর্যন্ত ফেরিতে উঠার সুযোগ পাননি তিনি। ঘাট এলাকার দূর্ভোগ থেকে পরিত্রান পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
মধুমতি ভাসমান কারখানার নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, বড় ফেরি হামিদুর রহমান এপ্রিল মাসের ৪ তারিখ থেকে মেরামত কারখানায় রয়েছে ইঞ্জিনজনিত সমস্যায়। স্বাভাবিক হতে আরও দীর্ঘ সময় লাগবে। আর আমানত শাহ ফেরি শুক্রবার সকালে মেরামতে আসে। এটি আগামীকাল নাগাদ ঠিক হবে। আর স্রোতের বিপরীতে চলতে না পারায় মেরামত কারখানায় রয়েছে ছোট ফেরি সন্ধ্যা মালতি।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, নদীতে প্রচন্ড স্রোত থাকায় ফেরি চলাচলে বেশি সময় এবং তিনটি ফেরি মেরামতে থাকায় যানবাহন পারাপারে ভোগান্তি বাড়ছে। বাস এবং ছোট গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌরুট পারাপার করায় ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে সীমিতভাবে।
তবে বাসের চাপ কমে গেলে সিরিয়াল অনুযায়ী পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে নৌরুট পারাপার করা হবে। সবশেষ পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় বাস ও ট্রাক মিলিয়ে ৫ শতাধিক যানবাহন নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।