জ,ই,বুলবুল: প্রশংসনীয় ও ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) এর থেকে অর্থ পুরস্কার পেলেন দাগনভুইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম সিকদার এবং এএসআই (নিঃ) মো. আলী হোসেন।
আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) তাদেরকে ৭৫,০০০ টাকা অর্থ পুরস্কার প্রদান করেন।
২৫ জুন ভোর রাতে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়ক সংলগ্ন বেকের বাজারের শরিয়ত অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙে মাল ট্রাকে তুলতে শুরু করে ডাকাত দল। এ সময় বাজারের নৈশপ্রহরী আবদুল মান্নান ঘটনাটি দেখে চিৎকার শুরু করলে ডাকাতেরা নৈশপ্রহরীকে ধাওয়া করে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এ সময় বাজারের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতির কথা জানানো হয়। স্থানীয় দোকানিরা ও আশপাশের লোকজন ডাকাতদের ঘেরাও করার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে দাগনভূঞা থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়। ধাওয়া দিলে ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে পুলিশ থানায় ফোন করে আরো অতিরিক্ত পুলিশ এনে অভিযান চালায়। পাল্টাপাল্টি গুলিতে এক ডাকাত ঘটনাস্থলে নিহত এবং তিন ডাকাত গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে একজন মারা যান। পরে সেখান থেকে ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে আরেক ডাকাত মারা যান। বাকি আরেক ডাকাতকে আটক করে পুলিশ।
এঘটনায় একজন নৈশপ্রহরী ও ডাকাত দলের ৩ সদস্য নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পাইপগান, দুটি ছুরি, ডাকাতির সরঞ্জাম ও একটি ট্রাক জব্দ করে পুলিশ।
সেদিন দাগনভূঞা থানার ওসি মো. আসলাম সিকদার ও এএসআই (নিঃ) মো. আলী হোসেনের কঠোর প্রতিরোধে বড় ধরনের একটি ডাকাত চক্রকে রুখে দেয়া সম্ভব হয়। পুলিশের এই সাহসিকতার স্বীকৃতি স্বরুপ আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) ৭৫,০০০ টাকা অর্থ পুরস্কার প্রদান করেন।যা ফেনী জেলার পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী বিপিএম, পিপিএম দাগনভুইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম সিকদার ও এএসআই মো. আলী হোসেনের নিকট হস্তান্তর করেন।
এ প্রসঙ্গে ওসি আসলাম সিকদার বলেন, পুলিশ জনগনের বন্ধু, এটা বুঝাতে হবে, পুলিশকে আরো আন্তরিক হয়ে কাজ করে দেখিয়ে দিতে হবে, যে পুলিশ আসলেই জনগণের আস্থার প্রতীক।বর্তমানে করোনাকালে করুণ পরিনতি যেনেও আমরা নিরন্তর কাজ করে চলেছি।সব পুরস্কারই ভালো কাজের অনুপ্রেরণা যোগায়, তেমনই ড. বেনজির স্যারের এ উদাহরণ সকল পুলিশকে আরো আন্তরিক হয়ে কাজ করার উৎসাহ যোগাবে। আমরা গর্বিত।