বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক॥ বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক সোয়াদকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ।
বুধবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টার দিকে কলাবাগান থানা এলাকার সোবহানবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নৌ পুলিশের ঢাকা জোনের পুলিশ সুপার খোন্দকার ফরিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ৭ জুলাই ময়ূর-২ লঞ্চের সুপারভাইজার আবদুস সালামকে গ্রেপ্তার করে নৌ পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। এরপর ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক সোয়াদকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করে।
ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, স্টাফ শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে সেখানে আসামি করা হয়।
প্রাণহানির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়।
ওই ঘটনায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার নয়টি কারণ চিহ্নিত করে বলা হয়, ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কাতেই মর্নিং বার্ড ডুবে প্রাণহানি ঘটে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে বিশ দফা সুপারিশও দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
দুর্ঘটনার পর সদরঘাটের একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সেদিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ঘটনার যে ধরন, তাতে তার মনে হয়েছে এটা ‘পরিকল্পিত এবং হত্যাকাণ্ড।’
গত ৭ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম এটি হত্যাকাণ্ড এবং এখনও দেখলে আবারও বলব হত্যাকাণ্ড। যেহেতু অবহেলাজনিত কারণে দুর্ঘটনার অভিযোগ এনে একটি মামলা করা হয়েছে, তদন্তে যদি হত্যাকাণ্ড প্রমাণিত হয়, তাহলে সেটা অবশ্যই ৩০২ ধারায় (হত্যা মামলা) আসবে।”