খান মাইনউদ্দিন, বরিশাল: বুধবার দুপুর সোয়া ১২টায় দুমকি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে হামলা, ভাঙচুর, হুমকি-ধামকি এবং লাঞ্ছিতের ঘটনায় বৃহস্পতিবার এলএইচসিবি কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ জারি করেছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জুনিয়র নার্স যুথিকা মন্ডল ও তার স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মন্ডলকে প্রায় এক বছর পূর্বে চাকরি হতে অব্যাহতি প্রদান করলে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম জীবন, সাধারণ সম্পাদক সবুজ সিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনিসুজ্জামান সোহাগ, শ্রমিকলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম মনির মৃধাসহ ১৫-২০ জন তাদের পক্ষাবলম্বন করে চাকুরিতে পুর্নবহাল করার দাবিতে একটি গ্রুপ ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে জনসংযোগ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মি. রেভ ডেভিড ঘোষ এর কক্ষে প্রবেশ করে টিম লিডার সাগর রোজারিওসহ দুজনের উপর অতর্কিত হামলা, ভাঙচুর, লাঞ্ছিত, ইন্টারনেট সংযোগ এবং সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় হামলাকারীরা। নির্বাহী পরিচালক মি. পিউস ছেড়াও এবং বিদেশী চিকিৎসক ডক্টর জাস্টিন এর গেষ্ট হাউজে গিয়ে ভাঙচুর, গালাগালি এবং হুমকি-ধামকি প্রদান করে।
এ প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এলএইচসিবি কর্তৃপক্ষ এমন ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতার কারনে অনির্দিষ্টকালের জন্য হাসপাতালটির বর্হিঃবিভাগ বন্ধ ঘোষণা করে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই হামলার বিচার করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ হাসপাতালের সার্বিক নিরাপত্তা, বিদেশীদের নিরাপত্তার স্বার্থে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে পটুয়াখালীর দুমকির লূথ্যারান হেলথ কেয়ারের প্রশাসনিক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ডেভিড ঘোষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদ্য চাকরিচ্যুত হওয়া নার্স যুথিকা মন্ডল।
বুধবার রাত ৮টায় দুমকি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সেবিকা যুথিকা মন্ডল অভিযোগে বলেন, লুথ্যারান হেলথ কেয়ারের প্রশাসনিক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ডেভিড ঘোষ প্রায়ই তাকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেয় ও বেশ কিছুদিন রাতে ব্যক্তিগত বাংলোয় ডেকে পাঠান।
নার্স যুথিকা মন্ডল অভিযোগ করে আরও বলেন, ডেভিড ঘোষের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে ও আমার স্বামীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আমি এই করোনাকালীন সময়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমি ও আমার স্বামীর চাকরিতে পূর্নবহাল চাই।
একই সাথে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডেভিড ঘোষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। এসময় কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই নারী।