বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক॥ বছরের শুরুতেই করোনার হানা। এর মধ্যেই উপকূল ভাসিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। ঝড়ের প্রভাব না কাটতেই নেমে এলো বন্যা। সেই বন্যা না কাটতেই শুক্রবার (১০ জুলাই) থেকে আবার মাসব্যাপী বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের।
মহামারির মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী দুর্যোগ সংকটকে আরো ঘনীভূত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর মন্ত্রী বলছেন, সব সংকট মাথায় রেখে নেয়া হয়েছে প্রস্তুতি।
করোনা মহামারির মধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ১৪টি জেলা। পানি কমে গেলেও রয়ে গেছে ভাঙনের ক্ষত। কিন্তু বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, এ দফায় কমলেও উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে চলতি সপ্তাহেই আসছে আরো বড় বন্যা। ১৯৯৮ এর বন্যার মতো এর বিস্তার মাসব্যাপী হতে পারে বলে দেয়া হয়েছে সতর্কতা।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, আবারো দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে বড় বন্যার আশংকা রয়েছে। এই বন্যাটা প্রায় চতুর্থ সপ্তাহ পর্যন্ত গড়াতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বন্যার হার ও শক্তি বাড়ছে জানিয়ে, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার পাশাপাশি করোনাকে গুরুত্ব দিয়ে আগাম প্রস্তুতি নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুয়েট পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, বন্যায় প্রচুর পরিমাণে পানি আসতেছে, পানিটা নদীতে থাকায় দেখা যায় পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।
পূর্বাভাস পেয়েই সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে দাবি করলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, পানি দুই সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে শুনেই আমরা পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৭ জুন শুরু হওয়া বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৪টি জেলায় প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ মানুষের। সময় টিভি