কাজী দুলাল, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দুমকিতে লুথ্যারান হেলথ কেয়ারে হামলা ও কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বরখাস্তকৃত সেবিকা যুথিকা মন্ডল ও তার স্বামী মৃত্যুঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার লুথ্যারান হেলথ কেয়ার সেন্টারের প্রশাসনিক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ডেবিড ঘোষ বাদী হয়ে সেবিকা যুথিকা মন্ডল ও তার স্বামী মৃত্যুঞ্জয়সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
দুমকি থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মেহেদী হাসান আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লুথ্যারান হেলথ কেয়ারে হামলা-ভাংচুর ও দু’কর্মকর্তা লাঞ্ছিতের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছি।
উল্লেখ্য গত বুধবার দুপুরে বরখাস্তকৃত সেবিকা যুথিকা মন্ডলকে চাকরিতে কেন পুনঃবহাল করা হবে না মর্মে হাসপাতালে ঢুকে হামলা-ভাংচুর ও দু’জন শীর্ষ কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে হাসপাতালটির বহি:বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে লুথ্যারান হেলথ কেয়ারের প্রশাসনিক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ডেভিড ঘোষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন সদ্য চাকরিচ্যুত হওয়া নার্স যুথিকা মন্ডল।
বুধবার রাত ৮টায় দুমকি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে যুথিকা মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, ডেভিড ঘোষের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে ও আমার স্বামীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আমি এই করোনাকালীন সময়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমি ও আমার স্বামীর চাকরিতে পূর্নবহাল চাই।
বর্তমানে মা ও শিশু স্বাস্থ্য চিকিৎসার ঐতিহ্যবাহী হাসপাতালটির সকল প্রকার চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার নিম্নবিত্তসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নারী ও শিশু চিকিৎসাসেবা প্রত্যাশিরা।