বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে যাত্রা শুরু হয়েছে ডিজিটাল পশু হাট। নভেল করোনাভাইরাস মহামারিতে মানুষ হাটে না গিয়ে বাসায় বসেই এ হাট থেকে কিনতে পারবেন তাদের পছন্দের গরু। আর ডিজিটাল হাটে কোরবানির পশু কিনতে হাসিল দিতে হবে না বলেও জানিয়েছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। প্রথম দিনেই ডিজিটাল হাট থেকে গরু কিনেছেন তিন মন্ত্রী। এদিকে রাজধানীর মূল শহরের বাইরে ৬টি হাট ইজারা দেবে ডিএনসিসি।
কোরবানির হাটে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব। তাই করোনা মহামারির মধ্যে ঢাকা শহরে পশুর হাট না বসাতে সুপারিশও করেছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম তাই আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসছে না পশুর হাট। আজ (শনিবার) দুপুরে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করা হলো ডিজিটাল পশুর হাটের।
শুধু গরু কেনা নয়, চাইলে কোরবানি করিয়ে বাসায় মাংস পৌঁছে দেয়ার সুযোগ থাকবে এই অনলাইন হাটে। সেক্ষেত্রে পশু জবাই ও অন্যান্য প্রক্রিয়ার জন্য গরুর মূল দামের সঙ্গে আরো ২৩ শতাংশ চার্জ দিতে হবে। তাছাড়া বাসায় পৌঁছানোর জন্য ঢাকার মধ্যে দিতে হবে ১৫০০ টাকা। তবে ডিজিটাল হাটে থাকবে না হাসিল।
ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব না থাকলেও ডিজিটাল হাট মানুষের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য জায়গা হবে বলেও জানান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
প্রথম দিনেই স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ডিজিটাল হাট থেকে কোরবানির গরু কিনেছেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের গরুর মূল দাম এক লাখ ২৮ হাজার ৬০০ টাকা। বাসায় পৌঁছানো, গরু জবাইসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে এই গরুর দাম পড়েছে এক লাখ ৬০ হাজার ২৩ টাকা।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এক লাখ টাকা দিয়ে একটি গরু কেনেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা দিয়ে একটি গরু কেনেন। অন্যান্য চার্জসহ গরুর দাম পরে এক লাখ ১২২ টাকা।
এছাড়াও ডুমনি, কাওলা, সাইদনগর, বছিলা, ময়নারটেক ও উত্তরা ১৭ নম্বরে পশুর হাট ইজারা দেবে ডিএনসিসি।