সাবরিনাকে নিয়ে ভিন্ন পরিকল্পনা গোয়েন্দা পুলিশের

গ্রেপ্তার সাবরিনাকে ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের হেফাজতে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। কারাগারে থাকা আরিফুলকেও এখন হেফাজতে আনতে চাইছে।

অরিফুল চৌধুরী ও তার ভগ্নিপতি সাঈদ আহমেদকে দ্বিতীয় দফায় সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার আদালতে আবেদন করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণার ঘটনায় এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুলকে গত ২৩ জুন গুলশান থেকে গ্রেপ্তারের পর দুদিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছিল থানা পুলিশ।

গত ১২ জুলাই সাবরিনা গ্রেপ্তার হওয়ার পর মামলাটির তদন্তভার যায় গোয়েন্দা পুলিশ বা ডিবির হাতে। ডিবিই সাবরিনাকে রিমান্ডে নিয়েছে।

ডিবির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার গোলাম মোস্তফা রাসেল মঙ্গলবার বলেন, তারা আলোচিত এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। জেকেজির সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার বিষয়টি জানার চেষ্টা করছেন।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার সাবরিনা (গ্রেপ্তারের পর বরখাস্ত) জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি এখন স্বামীর ওই সংস্থার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকারের পাশাপাশি আরিফুলের সঙ্গে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলার কথাও জানিয়েছেন।

ডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, সোমবার রাতে এক দফা এবং মঙ্গলবার দিনভর সাবরিনাকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে তিনি জেকেজির চেয়ারম্যান পদে থাকার কথা অস্বীকার করে আসছেন। তিনি বলেছেন, তিনি স্বেচ্ছাশ্রম দিয়েছিলেন, যারা নমুনা সংগ্রহ করছিল, তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

এই বিষয়টি নিশ্চিত হতেই সাবরিনা ও আরিফুলকে একসঙ্গে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা নিয়েছেন বলে জানান ডিবির উপকমিশনার রাসেল।

তিনি বলেন, আরিফুল ও সাঈদকে সাতদিন করে রিমান্ডে চেয়ে তারা আবেদন করলে আদালত বৃহস্পতিবার তার শুনানির দিন ঠিক করেছে।

Print Friendly

Related Posts