সাহেদ হেলিকপ্টারে ঢাকায়, বিকেলে র‌্যাবের ব্রিফিং

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে করোনার পরীক্ষার নামে ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিমকে। সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তারের পর হেলিকপ্টারে করে সাহেদকে ঢাকায় আনা হয়।

বুধবার (১৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে নামে সাহেদকে বহনকারী র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হেলিকপ্টারটি।

এর আগে ভোর সাড়ে ৫টা ১০ মিনিটের দিকে র‌্যাব সদস্যদের বিশেষ অভিযানে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ অস্ত্রও পাওয়া যায়।

নয় দিন চেষ্টার পর সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে নৌকায় করে উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদী পার হয়ে পালাতে চেয়েছিলেন।  পালানোর কৌশল হিসেবে তিনি বোরকাও পরেছিলেন বলে জানান র‌্যাবের  আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর ৫টা ১০ মিনিটের দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সকাল ৯টার দিকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকা তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে আনা হয়।

সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।  তিনি বলেন, গত ৯ দিন ধরে সাহেদকে অনুসরণ করা হচ্ছিলো।  কিন্তু তিনি ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করছিলেন।  এজন্য বারবার তার কাছাকাছি গিয়েও ধরা যাচ্ছিলো না।  এরপর গতরাতে সাতক্ষীরা র‌্যাব-৬ এর সহায়তায় তাকে অনুসরণ করে নৌকায় করে স্থানীয় লবঙ্গবতী নদী পার হওয়ার সময় ধরা হয়।  এসময় তিনি বোরকা পরে ছিলেন।  তার সঙ্গে কিছু লোকাল দালালও ছিল।  এর মধ্যে একজনের নাম বাচ্চু। দালালদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারের সময় সাহেদের কাছে একটি বিদেশি পিস্তল এবং তিন রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। তিনি সীমান্ত ক্রস করার চেষ্টা করছিল। প্রাথমিকভাবে তার কাছে পাওয়া কিছু তথ্যের যাচাইবাচাই করা হবে।

তবে তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে সে বিষয়ে কিছুই জানাননি এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

এদিকে বিকেল ৩টায় সাহেদকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts