ডা. গোলাম মোর্শেদ
বাংলাদেশে করোনা রোগের চিকিৎসায় ঢালাওভাবে কতগুলো ঔষধ ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন এজিথ্রোমাইসিন, ডক্সিসাইক্লিন, মোনাস, ফেক্সো, ডোকোপা, স্কাবো, রিকোনিল ইত্যাদি। এ ঔষধগুলো করোনা রোগে মোটেই কার্যকর নয়।
এজিথ্রোমাইসিন ও ডক্সিসাইক্লিন হলো এন্টিবায়োটিক। করোনা একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এই ভাইরাস জনিত রোগের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের তেমন ভূমিকা নেই। কালেভদ্রে দু’একজন রোগীর অ্যান্টিবায়োটিক লাগতে পারে। সেটা রক্ত পরীক্ষার উপর নির্ভর করে দিতে হবে।
মোনাস বা মন্টেয়ার নামক মন্টিলুকাস্ট জাতীয় একটি ঔষধ প্রায় সব রোগীকে দেয়া হচ্ছে। এটি মূলত এ্যাজমা রোগের ঔষধ। করোনার কাশি বা শ্বাস কষ্ট কমাতে এর কোন ভূমিকা নেই।
স্কাবো, আইমেকটিন নামে আইভারমেকটিন জাতীয় একটি ঔষধও মারাত্মক জনপ্রিয় এই বংগদেশে, যা পৃথিবীর উন্নত কোন দেশে করোনার চিকিৎসায় ব্যাবহার করা হয় না। করোনা রোগে এটি কাজ করে বলে এখন পর্যন্ত কোন গবেষণায়ও প্রমাণিত হয়নি।
ফেক্সো, ডোকোপাও প্রায় সবাইকেই দেয়া হচ্ছে। যাদের সর্দি কাশি আছে তাদের এটি কাজে লাগে কিন্তু সবার এটার দরকার হয় না। কিন্তু খাচ্ছে সবাই।
করোনা রোগের জন্য নির্দিষ্ট কোন ঔষধ নেই যেটা সকল করোনা রোগীকে দেয়া যেতে পারে। করোনা রোগের চিকিৎসা করা হয় মূলত উপসর্গ ও জটিলতার উপর ভিত্তি করে। একেক রোগীর একেক ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়, একেক ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। এবং সেই অনুযায়ী রোগীকে উপসর্গ উপশমের জন্য ঔষধ দিতে হবে এবং যে জটিলতা ডেভেলপ করে সেই জটিলতার জন্য ঔষধ দিতে হবে।
অধিকাংশ করোনা রোগী বাসায় বসেই চিকিৎসা নিতে পারে। তবে সেটা অবশ্যই লেখাপড়া জানা একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ক্লোজ মনিটরিংয়ে করতে হবে। যেসকল উপসর্গ দেখা দিবে সেই উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। তাহলে যেকোন করোনা রোগীই জটিলতা বিহীন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। তবে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্বাবধানে থাকবে রোগী।
ডা. গোলাম মোর্শেদ
(মেডিসিন,ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও চেস্ট পেইন সুপার-স্পেশালিস্ট)
আবাসিক চিকিৎসক: ন্যাশনাল হার্ট সেন্টার, সিংগাপুর।
সহকারী অধ্যাপক: জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, ঢাকা।
প্রয়োজনে: ০১৭১৭৭৫৭৫৯৩ (ইমো) +৬৫ ৮২৭৬৫৩৭২ (হোয়াটসঅ্যাপ)