কলাপাড়ায় চোরের কাছে অসহায় মানুষ

এস.এম ইলিয়াস জাবেদ, কলাপাড়া প্রতিনিধি: কলাপাড়ায় চোরের উপদ্রব বেড়েছে। মাত্র পাঁচদিন  আগে পৌরশহরের এতিমখানা এলাকায় সহকারী জজ আদালত ও জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবনে দুধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটার দু’দিন পর পৌরশহরের জগন্নাথ আখড়াবাড়ী’র বাসিন্দা মধ্যটিয়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কনা রানী বিশ্বাস’র বাড়ীতে চোরেরা হানা দেয়।
তাঁর বাড়ীর জানালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করার সময় চোরের টর্চের আলোতে বাড়ীর লোকজন সজাগ হয়ে গেলে চোরেরা সটকে পড়ে। এরআগে দিনে-দুপুরে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট নাসির মাহমুদের পৌরসভার রহমতপুর এলাকার বাড়ীতে চুরির ঘটনা ঘটে।
এছাড়া ধানখালী কলেজের শিক্ষক জিসান হায়দার আলমগীর’র মংগলসুখ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কের ভাড়াটিয়া বাড়ীতে দিনে-দুপুরে চুরির ঘটনা ঘটে এবং উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মেরাউপাড়া গ্রামে গত বুধবার আনুমানিক রাতে ২ টার চোরের দল ঘরের জাংলা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ঘুমানো অবস্থায় রড দিয়ে পিটিয়ে আব্দুল হক পহলান (৭০) ও তার ছেলে মাওলানা আল আমিন পহলান(৪০) কে আহত করে ঘরে ভিতরে বেঁধে রেখে নগদ টাকা ও স্বর্ণ সহ মালামাল নিয়ে যায়। এদের আহত অবস্থায় স্থানীয়রা রাতেই কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে।
 এছাড়াও মোবাইল ফোন সহ অন্ততঃ অর্ধশত মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটনায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে । দিনে-দুপরে এভাবে চুরির ঘটনা ঘটনায় মানুষ পুলিশ প্রশাসনের টহল কিংবা নৈশ প্রহরীদের পাহারা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্য, চোরের দল যে সকল -বাড়ীতে কিংবা অফিস আদালতে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে তা এক সময় কলাপাড়ায় ছিল না বললেই চলে। এসকল চোরের দল পরিকল্পিত ভাবে বিশেষ করে চাকুরীজীবিদের বাসা বাড়ীতে তারা কখন বাড়ীতে থাকেন না কিংবা অফিসে যান ,এসময় তাদের হানা শুরু হয় । তাদের লক্ষ্য নগদ টাকা  কিংবা স্বর্নালংকার। কোন প্রকার মালামাল নয় ।
অপরদিকে,মোটর সাইকেল চোরদের টার্গেট অপেক্ষাকৃত ভাল এবং দামী মোটর সাইকেল । চোরের এ উপদ্রপ কমাতে কোন মহলের কোন মাথা ব্যাথা নেই। ফলে মানুষ বিপদাপন্ন হয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি সংঘবদ্ধ এ চোরদের কাছে।

 

 

Print Friendly

Related Posts