বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর সাম্প্রতিক এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কিছু কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অবস্থান জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
রোববার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় আইএসপিআর গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল হাসান সারওয়ার্দীকে সেনানিবাস ও সেনানিবাস আওতাভুক্ত এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লে. জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, বীর বিক্রম, এনডিসি, পিএসসি, পিএনজি (অবসরপ্রাপ্ত) বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় সেনানিবাসে প্রবেশ এবং সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিথ্যাচার করেন, যা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
আইএসপিআর-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, তিনি লে. জেনারেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর এনডিসির কমান্ড্যান্ট থাকাবস্থায় একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি এনডিসিতে পরিচালিত বিভিন্ন কোর্সের সঙ্গে বিদেশে ভ্রমণকালেও অনেক মেয়েকে নিয়ে চলাফেরা করেন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে তার এই অশোভনীয় আচরণ এবং মেলামেশার ছবি কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত হলে কর্তৃপক্ষ বিব্রত হয় এবং তাকে বিভিন্নভাবে উপদেশ দেওয়া হয়। তিনি এলপিআর এ থাকাকালীন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন এবং সেনা আইন বর্হিভূতভাবে মেসকিট (সামরিক পোষাক) পরে একই বছরের ২১ নভেম্বর কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হাসান সারওয়ার্দীর এ ধরনের আচরণ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য অস্বস্তিকর ও বিব্রতকর। এ ধরনের ঘটনা সেনাবাহিনীতে কর্মরত অফিসার এবং অন্যান্য পদবীর মধ্যে নেতিবাচক উদাহরণ হিসেবে কাজ করে ও বিরুপ প্রভাব ফেলে। সামগ্রিক বিবেচনায়, গত বছরের ১০ এপ্রিল উক্ত অফিসারকে সেনানিবাস ও সেনানিবাস আওতাভুক্ত এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, সেনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’র জন্য সেনানিবাস ও সেনানিবাসের আওতাভুক্ত সব স্থাপনা এবং সেনানিবাসের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা যেমন: সিএমএইচ এ চিকিৎসা সেবা, অফিসার্স ক্লাব, সিএসডি শপ ইত্যাদিতে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ।